প্রশান্তি ডেক্স ॥ বহুল আলোচিত-সমালোচিত সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। তবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খুব দ্রুত একটা আইন করা হবে, এটা আগের আইনের মতো নয়। গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, গত বছর পতিত স্বৈরাচার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে নতুন একটি বোতলে নাম দিয়েছিল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। কিন্তু, উদ্দেশ্যটা একই ছিল। উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কণ্ঠরোধ করা, ভিন্নমত প্রকাশকারীদের দমানো। এর মাধ্যমে অনেক লোককে হয়রানি করা হয়েছিল। যার মধ্যে বিশাল অংশ ছিল সংখ্যালঘু। তাদের জেল দেওয়া হয়েছিল। আজকে উপদেষ্টা পরিষদে সিদ্ধান্ত হয়েছে এটাকে নীতিগতভাবে বাতিল করা হবে।
সাইবার সিকিউরিটি আইনে হওয়া মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, যেগুলো সত্যিকার অর্থে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কিত সেগুলো থাকবে। কিন্তু যে মামলাগুলো মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছিল সেগুলো বাতিল করার বিষয়ে এরই মধ্যে আইন উপদেষ্টা বলেছেন। অন্যান্য শিশু পর্নোগাফি কিংবা নারী নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে সেগুলো চলবে।
আইন বাতিলের পরে একটা বিষয় তৈরি হয়। সাইবার সিকিউরিটির উল্লেখযোগ্য আমরা যারা সাইবার নিরাপত্তার কথা বলি, সেক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা, আমরা যারা ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি ব্যবহার করছি, অনেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম ব্যবহার করেন। এখানে যে সমস্যা তৈরি হয়, হ্যাকিং এর কাজ হয়, ব্যাংকগুলোর সিকিউরিটি সেগুলো নিয়ে খুব দ্রুত একটা আইন করা হবে। এটা আগের আইনের মতো নয়। যার মূল ফোকাস থাকবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।
নতুন আইনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আইন উপদেষ্টা এটা নিয়ে বলবেন।