প্রশান্তি ডেক্স॥ ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি দিয়ে বা নরেন্দ্র মোদির ছবি যুক্ত করে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘লুটেরা মাফিয়াদের নেতৃত্ব ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘তিন মাসেও আওয়ামী লীগের কোনও লজ্জাবোধ হয়নি, তারা কোনও ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। বড় নেতারা বাদ দিন, যারা দেশে আছেন তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনও আত্মসমালোচনা নেই, আত্মধিক্কার নাই। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের চেহারা। বরং তারা নিজেরাই একটা ভিডিওবার্তা ফাঁস করে দিয়ে এখানে একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি দিয়ে হোক বা কালকে নরেন্দ্র মোদির ছবি যুক্ত করেন, এগুলো দিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসসহ যারা সরকার গঠন করলেন এতদিন তারা তো তাদের পছন্দের ব্যক্তি নিয়ে সরকার করলেন। এখন সমস্যা কী? এখন কি কোনও বিভক্তি তৈরি হয়েছে?’ অন্তবর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কোনও মত পার্থক্য দেখা দিয়েছে? কোনও অনাস্থার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে? সরকারের ভেতর যারা আছে তারা কত ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। বলছে নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে, নতুন রিপাবলিক ঘোষণা করতে হবে। অনেক কথাই তারা বলছেন, অনেক দলকেও পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে বলছেন। তারা যখন সরকারেও আছেন তাহলে কি এটা সরকারি বক্তব্য?’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন গোটা পরিস্থিতি লেজে-গোবরে। সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতা আমরা দেখছি। সরকারের ভেতরে প্যারালালি অনেকগুলো সরকার কাজ করে কিনা সে রকম একটা উদ্বেগের জায়গা আমরা দেখছি। তিন মাসের মধ্যে তো এরকম হওয়ার কথা ছিল না।’ নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের প্রসঙ্গ তুলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘তিন মাস ডিউটি করার পর তিন জন নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দিলেন। এরমধ্যে একজন তো আগেই ছিল, তাকে প্রমোট করেছে। সহকারী উপদেষ্টা থেকে এখন পুরো উপদেষ্টা বানিয়ে দিয়েছে। আর যে দুই জন নিয়েছে, তাদের নিয়ে দেশে একটা উত্তাল ঢেউ তৈরি হয়েছে। তাদের নামে মামলা ছিল কিনা আমি তো জানি না। কিন্তু এটা তো থানার কাছে জিজ্ঞেস করলেই পাওয়া যায়। তার মানে তারা (সরকার) ছেলে খেলা করেছে। এরকম একটা মামলাতে খুনের আসামি, ভুল সঠিক পরের কথা, বিচারে সাজা হবে কি হবে না সেটাও পরের কথা। কিন্তু এখন কিরকম করে তাকে এই জায়গায় দেবে? তাদের কোনও জবাবদিহির ব্যাপার নাই। তারা কোনও কেয়ারই করছে না।’