দুটি বিপরীত শব্ধার্থের ব্যাবহার এখন বহুল প্রচলিত হয়ে আমাদের সামনে দৃশ্যমান। তবে স্থীরতা আর অস্থিরতা এই দুটি শব্দ কিন্তু বিপরিতাত্থক এবং ইতি ও নেতিবাচক রূপ প্রকাশ করে। আমাদের বর্তমান সমাজে, রাষ্ট্রে এমনকি পরিবারেও এই শব্দ দুটির ব্যবহারিক প্রয়োগ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সুফল এবং কুফল উভয়ই এখন সমাজে বিদ্যমান রয়েছে। তবে সুফলের চেয়ে কুফলই বেশী প্রদর্শীত হচ্ছে। তাই এই কুফল থেকে বের হওয়ার জন্য স্থিরতা আবশ্যকীয়। যেমন আমরা সকলেই একযোগ্যে এবং একবাক্যে বলতে পারি “তোমার মুখের কথার হ্যা যেন হ্যা হয় আর না যেন না-ই হয়”। এই কথাটি স্বয়ং আমাদের সৃষ্টিকর্তার আদেশ ও নির্দেশ। আমরা এই কথার উপর ভিত্তি করে এমনকি নির্ভর করে চলতে পারলে জীবনের বর্তমান হা-হা-কার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
পরিবারের মানুষগুলো আজ বড়ই স্বার্থপর এবং একা হয়ে যাচ্ছে। স্বার্থের দ্বন্ধে অন্ধ হয়ে অস্থিরতায় পর্যবসিত হচ্ছে। স্বস্থির আচরণ এবং স্থীরতা যেন ভুলতে বসেছে। সমাজও ঠিক একই কায়দায় এগুচ্ছে। আর এর প্রভাব গিয়ে ঠেকেছে রাষ্ট্রে। তাই আজ রাষ্ট্রের কাঠামোয় অস্থিরতা পর্যবসীত হচ্ছে। স্থীরতা হারিয়ে যাচ্ছে এবং অস্থিরতার বহিপ্রকাশ সবাঙ্গে অগ্রজ ভুমিকা পালন করছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে এই দৃশ্যমানতায় বরই বেকায়দায় স্থিরতা।
আজ রাজনীতি ও অর্থনীতি উভয়ই অস্থির হয়ে দাও দাও করে জ্বলছে। তাই এই অস্থিরতা থেকে বের হয়ে আসা জরুরী। সমাজের এমনকি রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে অস্থিরতা বিরাজমানতার বহি:প্রকাশে দিশেহারা আম জনতা। যার যার ইচ্ছানুযায়ী দবিদাওয়া নিয়ে হাজির জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। জনতা এবং রাষ্ট্র শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে। কোথায় কোথায় পদক্ষেপ নিচ্ছে থামানোর কিন্তু কোন কাজে আসছে না। একটি থামলে আবার আরেকটি নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। কোনটির চেয়ে কোনটির যুক্তিই যেন কমতিতে নেই। বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুগোপযুক্ত। তাই এখন এই অস্থিরতায় স্বস্তী আনতে কাজ করতে হবে।
কেউই কথা দিয়ে কথা রখেন না এমনকি একটি কথার উপর ভরসা করে কার্য সম্পাদন করেন না। সবাই এখন ভোল পাল্টায়। আর ঘণ ঘন ভোল পাল্টানোতে বেসামাল হচ্ছে জনজীবন আর বিপর্যন্ত হচ্ছে অর্থনীতি ও নীতি এবং মানবতা। সবাই শুধু যার যার স্বার্থ হাছিলে মত্ত্ব। তাই এই অস্থিরতায় স্বস্তি আনতে সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় বুঝে কাজ করতে হবে। তাই সকলকেই একটি বাক্য বা সৃষ্টিকর্তার আদেশ অনুসরণ ও অনুকরণ করে অগ্রসর হয়ে এই অস্থিরতায় স্বস্তি আনয়ন করে সামনে এগুতে হবে। সৃষ্টিকর্তার বানি “ তোমার মুখের কথার হ্যা যেন হ্যা হয় আর না যেন না হয়”।
বর্তমান পৃথিবীর অস্থিরতার সঙ্গে বাংলাদেশও যোগ দিয়েছে। তাই সকল অস্থিরতায় ইবলিশের যোগসাজস প্রমানিত এবং প্রকাশিত। তাই ইবলিশ থেকে দুরে থাকার হাতিয়ার নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্য শুরু করুন। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সহায়তা করবেন এবং নিশ্চিত সফলতার গন্তর্বে পৌছাতে পারবেন। এই কামনাই করছি এই অস্থির সময়ে স্বস্তির জন্য আমার মোনাজাত অবিরত।