নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানার সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এই পরোয়ানাকে ‘মৌলিকভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, আইসিসি প্রসিকিউটরের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং এই পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়াগত ত্রুটিগুলো নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার এই বিষয়ে আইসিসির কোনও এখতিয়ার নেই।

বিবৃতিতে হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে জারি করা আইসিসি পরোয়ানার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আসন্ন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ইসরায়েলকে সমর্থন করে বলেছেন, আইসিসি ও জাতিসংঘের ইহুদি-বিরোধী পক্ষপাতের জবাব জানুয়ারিতে কঠোরভাবে দেওয়া হবে।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ আরও বলেছেন, “আইসিসির কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই এবং এসব অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

আইসিসির পরোয়ানার বিরুদ্ধে রিপাবলিকানদের মধ্যে ক্ষোভ আরও ব্যাপক। অনেকেই মার্কিন সিনেটে আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।

বর্তমানে ১২৪টি দেশ আইসিসির সদস্য, যারা আদালতের পরোয়ানা বাস্তবায়নে বাধ্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কেউই আইসিসির সদস্য নয় এবং উভয়েই আদালতটির এখতিয়ার প্রত্যাখ্যান করেছে।

হেগভিত্তিক আদালত গত বৃহস্পতিবার জানায়, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে পরোয়ানা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জারি করা হয়েছে। এ অপরাধগুলো ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২০ মে পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছে।

হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও একটি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, জুলাই মাসে গাজায় বিমান হামলায় দেইফ নিহত হয়েছেন। তবে হামাস তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.