বাংলাদেশ এখন ভারতের পার্লামেন্টে

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা চিন্ময় দাস প্রভুর গ্রেফতারির ঘটনা, তারপর আদালত প্রাঙ্গণে একজন আইনজীবীর মৃত্যু ঘিরে দেশব্যাপী উত্তেজনা এবং দিল্লি ও ঢাকার পাল্টাপাল্টি বিবৃতির পর ভারত সরকার অবশেষে আজ প্রকাশ্যে জানালো, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব সে দেশের সরকারেরই!

ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর এবং ‘অপবিত্র’ করার প্রসঙ্গ উঠেছিল। বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দল থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত এমপি অমরেন্দ্র ধারি সিং সরকারের কাছে প্রশ্ন করেন।

(১) বাংলাদেশে কি সম্প্রতি হিন্দুদের মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর-হামলার ঘটনা বেড়েছে?

(২) যদি তাই হয়, তাহলে ভারত সরকার কি বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে উত্থাপন করেছে?

(৩) যদি করে থাকে, তাহলে তাতে বাংলাদেশ সরকারের কী জবাব ছিল? তারা এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে?

অমরেন্দ্র ধারি সিং: এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গিয়ে লিখিত জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্র কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ঘটনার খবর এসেছে যেখানে হিন্দু মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর ও অপবিত্র করা হয়েছে।’

‘ভারত সরকার এই ঘটনাগুলোসহ ঢাকার তাঁতিবাজারে একটি পূজা মন্ডপে আক্রমণ এবং ২০২৪ সালের দুর্গাপূজার সময়ে সাতক্ষীরায় জহরেশ্বরী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা নিয়ে আগেই উদ্বেগ জানিয়েছে।’

কীর্তি বর্ধন সিং: তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভারত সরকার আবেদন জানিয়েছে যাতে তারা হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের এবং তাদের ধর্মীয় স্থানগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করে।’

‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুসহ সব নাগরিকদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের’ আরও জানানো হয়েছে ওই লিখিত জবাবে।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) চিন্ময় দাস প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনার পরদিন ভারত সরকার যে বিবৃতি দিয়েছিল, তার তুলনায় ২৯ নভেম্বর পার্লামেন্টের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনেকটাই সুর নরম করেছে ও সংযত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.