উত্তপ্ত বাক্য বিনীময়ের মাধ্যেমে উষ্ণতা ছড়িয়ে যাচ্ছে দুই দেশের কতিপয় জনগণ। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে একে অপরকে ভূপাতিত করতে চাইছে যেন এই বাক্য বিনিময়ই একমাত্র জয়ী হওয়ার হাতিয়ার। তবে কেউ কেউ পতাকায় আঘাত করছে সমান তালে। আবার কেউ কেউ দুই দেশের নাগরিকদের জীবন বিষিয়ে তুলেছে যেন মানুষে মানুষে বিদ্বেষ ও হিংসা এবং নেতিবাচক আক্রমনের মাধ্যমে। জাতিতে জাতিতে বিদ্ধেষ ও গ্রোত্রে গ্রোত্রে বিদ্ধেষ; এই সবই এখন দৃশ্যমান। তবে এর থেকে বেড় হয়ে আসার জন্য যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং ক্ষমা ও ভালবাসা পরোপকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন দরকার তা নিয়ে কেউ ভাবছেন না বরং একে অপরকে উষ্কে দিতে যার যার মনগড়া আচরণই প্রকাশ করে যাচ্ছেন যা আমরা সকলেই দৃশ্যমানতায় দেখতে পাচ্ছি।
প্রথম কথা হলো এই তিক্ততার মাধ্যমে বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্ভবনা রয়েছে। যাতে উভয়েরই ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী। তবে আমাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভবনাটুকু অতিমাত্রায় বেশী এবং জনগণের সহ্যতারিক্ত আকারে প্রকাশিত হওয়ার পথে। উভয় দেশই কিন্তু ক্ষতির দিকে এগুচ্ছে। যেমনি দরুন ইউক্রেন এবং রাশিয়া। কেউ কারো থেকে কম ক্ষতি হচ্ছে না বরং উভয়েই সমান তালে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর সেই ক্ষতির তালিকায় বিশ্বের সকল দেশই এখন অংশীদার হয়েছেন।
তাই ঐ ধরনের পরিস্থিতির দিকে যেন না যায় সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কারো প্ররোচনায় বা বোকার স্বর্গে বসবাসকারীর বোকামীর জন্য গোটা জাতি যেন যুকিপূর্ন অবস্থায় না পড়ে সেইদিকে খেয়াল রাখা জরুরী। আরো যত্নশীল আচরণ করে নম্রতায় এবং ক্ষমতায় আর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে নিশ্চত শান্তিপ্রীয় স্থিতিশীলতার পরিপূর্ণতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
উত্তেজনার মূলে গিয়ে কুঠারাঘাত করতে হবে। মূল বা শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। তবে তা ক্ষমতা দেখিয়ে নয় বরং ভালবাসায় পূর্ণ হয়ে ক্ষমার মাধ্যমে নম্রতায় এবং ধৈর্য্যের মাধ্যমে মোকাবিলা করে। সকলকেই যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রকাশ করতে হবে। মনে রাখতে হবে দায়িত্বশীল নম্র আচরণের মাধ্যমেই উত্তেজনা প্রশমন সম্ভব। উভয় পক্ষেরই ক্ষতি থেকে মুক্তির একমাত্র পথ, নম্রতা আর ক্ষমা ও ভালবাসা। পরোপকারী মনোভাবের কার্যকরী প্রক্রিয়া আরো বয়োবৃদ্ধি করতে হবে।
সরকার এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরকে করজোরে আহবান জানাব যেন আপনারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকুন এবং জাতির কল্যাণের তরে কাজ করুন। কারো পক্ষে বা কারো বিপক্ষে নয় বরং সকলের পক্ষ হয়েই আগামীর কল্যাণ সাধন করুন। জনউত্তেজনাকে নিষ্ক্রিয় করতে প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখুন। জনউত্তেজনা দেশের গন্ডি পেরিয়ে গিয়ে মঙ্গল বয়ে আনতে পারবেনা বরং অমংগলই প্রচ্ছন্ন হুমকি হিসেবে পরিগণিত হবে। দেশের ভিতরেও এখন আর উত্তেজনার প্রয়োজন নেই বরং এই উত্তেজনা থেকেই জনবিস্ফোরণের সমুহ সম্ভবনা উকি দেয়। আর সম্ভবনা থেকেই কিন্তু আপনাদের দীর্ঘ যাত্রপথের অন্তরায়ের নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। সুতরাং এখনই উপযুক্ত সময় সকল উত্তেজনা নিরসনের। দেশী এবং বিদেশী উত্তেজনা প্রশমনে এগিয় আসুন। জনকল্যাণে কাজ করুন এবং সকল সেবার দ্বার উন্মুক্ত করে সেবার মাধ্যমে জাতির মননে অবস্থান করুন।
এই হুজুগে জাতিকে হুজুগ থেকে রক্ষা করুন এবং আগামীর তরে উন্নতির সোপানে কাজে লাগিয়ে অভিষ্ট লক্ষ অর্জন এবং পৌঁছাতে ভুমিকা রাখুন। দেশের শাসক নয় বরং সেবক হিসেবে কাজ করুন। বিগত দিনের শাষকদের শেষ অবস্থার কথা মনে রেখে আপনার দায়িত্ব পালন করুন। যতদিন সেবার মানুষিকতা এবং বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে ততদিনই আপনার অর্পিত দায়িত্ব সচল থাকবে। তাই সেবকের ভুমিকায় নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। যে যত বড় সেবক দেশবাসী তার প্রতি তত বেশী বিনম্র এবং বিশ্বস্ত থেকে সহযোগীতা অব্যাহত রাখবে। বড় হলেই বড় হওয়া যায় না বরং আচরণ এবং নিতি ও আদর্শ আর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের মাধ্যমে সহযোগীতা এবং সহমর্মীতার অব্যাহত চর্চায় ক্ষমা এবং ভালবাসার বন্ধনে জড়িয়ে বড়ত্বের প্রমান বহন করতে হবে। ছোট হলেই হেলায় ফেলে দেয়া যায় না বরং বড় ও ছোট এর মধ্যেকার ফারাক দুরীকরণের জন্য উভয়ের ইতিবাচক মনোভাব সুপ্রসন্ন করতে হবে। একসঙ্গে পথ চলতে উভয়ের প্রয়োজনে উভয়েই পাশে থাকার ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে কাজে প্রমান করতে হবে। তাই সকলের প্রতি মিনতি রইল যেন সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তবে; এই ভাবাপন্ন হয়ে উত্তপ্ত অবস্থা থেকে শান্তিপ্রীয় প্রশান্তির অবস্থায় ফিরে যেতে সকলেই মনোনিবেশ করার বিনিত আহবান জানাচ্ছি।