ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ মহামারী কারোনার কারণে বন্ধ ঘোষণার পর থেকে দীর্ঘ সাড়ে চার বছরও বেশি সময় বন্ধ রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা সীমান্তে অবস্থিত তারাপুর-কমলাসাগর সীমান্ত হাট। করোনার পর অন্য হাটগুলো চালু হলেও এই সীমান্ত হাটটি এ পর্যন্ত চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ। ভারতীয় ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের কাছে বকেয়া হয়েছে কোটি টাকা।
এই হাটটি পুনরায় চালু হলে টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই হাটটি দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি তাদের। সীমান্ত হাট সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১১ জুন ভারত- বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে ভারতের সিপাহীজলা জেলার কমলা সাগর ও বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার তারাপুর সীমান্তে শুভ সূচনা হয় কসবা সীমান্ত হাটের। দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৈধভাবে দুই দেশের বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছিল হাটটি। প্রথমে দুই দেশের ৫০টি দোকান দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে দুই দেশের ১০০ দোকান চালু করা হয়। প্রায় ছয় বছর চালু থাকার পর বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনার কারণে ২০২০ সালে মার্চ মাসে দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় হাটটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে পরিচালনা কমিটি। এ নিয়ে কয়েক দফা সভা হয়। গত ২৯ জুলাই হাটটি পুনরায় চালু হওয়ার কথা ছিল। আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর থমকে যায় হাট চালুর বিষয়টি। সাপ্তাহের রোববার বসতো এ হাট। হাটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, হাট পুনরায় চালু হলে ভারতীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কাছে বকেয়া টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কসমেটিক্স, কাপড়, ক্রোকারিজ, লোহার তৈরি সামগ্রীসহ অনেক দোকান ছিল এ হাটে। ভালোই চলছিলেন তারা। হাট পরিচালনা কমিটির বাংলাদেশ অংশের সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার জানান, ২৯ জুলাই হাট চালুর কথা থাকলেও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের কারণে পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।