প্রশান্তি ডেক্স ॥ বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে দুই সপ্তাহ ধরে। আজও বেশ কয়েকটি সবজির দাম কমেছে। এদিকে, সবজির দাম কমলেও দুই দিনের ব্যবধানে ক্রস জাতের পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। গত মঙ্গলবার ক্রস জাতের পেঁয়াজের কেজি ছিল ১১০ টাকা, যা আজকে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। তাছাড়া, আজকে পেঁয়াজের সঙ্গে ব্রয়লার, কক ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র। আজ বাজারে ভারতীয় টমেটো ১৪০ টাকা, টক টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৭০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ টাকা, শিম ৬০-৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৭০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৮০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লাল মুলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, পেঁয়াজকলি ৮০ টাকা, গাছসহ পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৩০ ও লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা করে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে চায়না গাজরের দাম কমেছে ২০ টাকা, শিমে কমেছে ২০ টাকা, লম্বা বেগুনে ১০ টাকা, সাদা গোল বেগুনে ১০ টাকা, কালো গোল বেগুনে ২০ টাকা, শসায় (দেশি) ২০ টাকা, পেঁপের ১০ টাকা, মুলায় ১০ টাকা, ঢেঁড়সে ২০ টাকা, পটোলে ১০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ায় ১০ টাকা, ধনেপাতায় ২০ টাকা। এছাড়া হালিতে ১০ টাকা কমেছে কাঁচা কলার দাম। প্রতি কেজি চিচিঙ্গার দাম বেড়েছে ২০ টাকা, ধুন্দলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজার করতে আসা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সবজির দাম অনেকটা কমে এসেছে। আর যেগুলোর দাম বেশি সেগুলো এই সিজনের না। তাই দাম বেশি থাকাটা স্বাভাবিক। আরেক ক্রেতা বলেন, সবজির দাম তো কমেছে, কিন্তু অন্যান্য পণ্যের দাম তো কমছে না। সেগুলোও কমানো উচিত। এসময় সবজি বিক্রেতা মো. রাজিব বলেন, শীতকালের সবজি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বলেই দাম কমে এসেছে। বৃষ্টি-বাদল না হলে আরও কমে যাবে। এদিকে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে ক্রস জাতের পেঁয়াজের দাম। অপরদিকে নতুন ও পুরাতন আলু দাম প্রায় সমান। আজকে প্রতি কেজি ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এর মধ্যে ছোট ও বড় সাইজের পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ১২০ আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা করে। এদিকে বাজারে নতুন আলু এলেও কমছে না পুরাতন আলুর দাম। সমানতালে বেড়ে চলছে সব ধরনের আলুর দাম। আজকে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। আর পুরাতন লাল আলু ৭৫-৮০ টাকা, সাদা আলু ৭৫-৮০ টাকা, নতুন বগুড়ার আলু ৯০ টাকা, পুরাতন বগুড়ার আলু ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আজ দেশি রসুন ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, চায়না আদা ২০০-২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত মঙ্গলবারের তুলনায় ক্রস জাতের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা করে। এছাড়া অন্যান্য পেঁয়াজের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। এদিকে আজ মানভেদে নতুন দেশি আলু, পুরাতন সাদা ও লাল আলুর দাম কমেছে ৫ টাকা করে। এছাড়া চায়না রসুনের দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা, চায়না আদার দাম বেড়েছে ২০ টাকা করে। অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
বেড়েছে মুরগির দাম: আজ গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ১৮০-২০৫ টাকা, কক মুরগি ২৯০-২৯৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮৫ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফামের্র মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা, সাদা ডিম ১৩৫ টাকা । এতে দেখা যায় আজকে ব্রয়লার মুরগি দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা, কক মুরগির দাম বেড়েছে ২-৭ টাকা, লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। এছাড়া গরুর মাংস, খাসির মাংস ও দেশি মুরগির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। একইসঙ্গে ফামের্র মুরগির লাল ও সাদা ডিমের দামও রয়েছে অপরিবর্তিত। এছাড়া আজ আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ মাছ ৭০০-২০০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০-৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৩৮০-৫৫০ টাকা, কালিবাউশ ৩৫০-৫০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০-১৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ২২০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৮০০-১২০০ টাকা, কাজলী মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, শোল মাছ ৮০০-১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, চিতল মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, সরপুঁটি মাছ ৩০০-৫০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুদিপণ্যের দাম অপরিবর্তিত : আজ মুদিপণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। ছোট মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১৪৫ টাকা, মাষকলাই ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৭৫ টাকা, ছোলা ১৩০ টাকা, প্যাকেট পোলাও চাল ১৫০ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে সয়াবিন তেলের চলমান সংকটের কারণে কেউ কেউ পুরোনো দামের তেল অধিক দামে বিক্রি করছেন। আর যারা নতুন দামের সয়াবিন তেল পেয়েছেন তারা বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন। সরকার প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বেশির ভাগ বিক্রেতার অভিযোগ, তারা এখনও নতুন দামের সয়াবিন তেল পাচ্ছেন না। তাই আপাতত এই ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।