প্রশান্তি ডেক্স ॥ যদি রাজনীতিবিদরাই সংস্কার করেন, তাহলে গত ৫৩ বছর তারা কী করেছেন’ এমন প্রশ্ন তুলেছেন অন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ব্যক্তিগত গাড়িচালকদের পুনঃপ্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘৫৩ বছরে কেন সংস্কার করলেন না? রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করতে পারেন, তাহলে আমাদের দায়িত্ব নিতে হতো না। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। ’গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তবর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তবর্তী সরকার ঘোষণা দেয় প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে এর জন্য কোনও দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। অন্যদিকে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে ফিরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দিন। দেশের অস্থিরতা নিরসন একমাত্র নির্বাচিত সরকারই করতে পারে।’
অনুষ্ঠানে ডিসেম্বরের মধ্যেই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালাকে আইনে রূপান্তর করে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, ‘তাতে ক্ষমতা দেওয়া হবে পুলিশকে। হ্রনের শব্দে সচিবালয়ে কাজ করা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা একটি নরকে পরিণত হচ্ছে। ’সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বিদেশে হর্ন দেওয়া মানে হলো গালি দেওয়া। রাজধানীতে যতগুলো সোসাইটি আছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। হ্রনের যন্ত্রণায় মানুষ বিকারগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। শব্দ দূষণের কারণে একটা অস্থির প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে।’