বিজয় দিবস উদযাপনে নতুনত্য এসেছে এবং বাঙ্গালী বিভাজনের বেড়াজাল থেকে বেড় হওয়ার একটি প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। প্রশান্তির এই দশ বছরে বহু পরাজয় এবং জয় ও জমাটবাধা একটি বড়ফকে গলানোর প্রচেষ্টায় সফলতা প্রত্যক্ষ করা হয়েছে। একটি সাজানো সংসার ভেঙ্গে নতুন করে সাজানোর প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। বাঙ্গালী তার অর্জিত বিজয়কে স্মরণ করে কাঙ্খিত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।
বহু চড়াই উতরাই পার করে নতুন সোনালী ভোরের স্বপ্নে বিভোর হয়ে সামনে এগিয়ে চলেছে। এই বিজয় দিবসেই সকল বৈষম্যের অবসানে প্রতিজ্ঞাবদ্দ হয়েছে সমগ্র জাতি। এই বিজয়ের মাসেই খীষ্ট্রীয় ত্রাতা পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন এবং সমস্ত পৃথিবীর মানুষকে স্বীয় পাপ থেকে মুক্ত করে খোদার সান্নিধ্যে পৌঁছার সুযোগ করে দিয়েছেন। আর এও বিনামূল্যের দান এবং সৃষ্টিকর্তার মহাপরিকল্পনা ও ভালবাসার ফসল। সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্টত্ব ও কর্তৃত্ব বজার রাখার নিদর্শন।
এখনও যেসকল নৈরাজ্য বিরাজমান এবং নতুন করে আর্ভিভূত হওয়া ষড়যন্ত্র :- খুন, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এবং হানাহানি আর ধর্মীয় এমনকি জাতি ও গোষ্ঠীগত বিভেদ এমনকি রাজনৈতিক অস্থিরতা দৃশ্যমান তার সুরাহা অতি জরুরী। আর এই সুরাখা বা নিয়ন্ত্রণ অথবা আগুনে পানি ঢালতে গেলে দরকার জাতিয় ঐক্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর ঐক্যবদ্য প্রতিরোধ এবং ক্ষমতার নমনীয়তা এমনকি ক্ষমা ও ভালবাসার নি:শর্ত ও নি:স্বার্থ বন্ধন অটুট রেখে এগিয়ে যাওয়া। এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে আরেকটি ৫ আগষ্টের বিষ্ফোরন অত্যাসন্য। ছাত্র-জনতা এবং বর্তমান অন্তবর্তী সরকার মিলে যে প্রচেষ্টা এবং লক্ষ্য স্থির করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে সেইদিকে সকলেই সহযোগিতার মনোভাব পোষক করা দরকার। বিগত দিনের সরকার পরিচালনাকারীদের থেকে নতুন এবং ব্যতিক্রমি কর্মকান্ড যা সার্বজনীন ও সকল বৈষম্যের অবসানকল্পে নেয়া সেই দিকে মনযোগী হওয়া দরকার। গতানুগতিক এবং পুর্বের সরকারগুলোর উত্তরসূরী হওয়া কোন ক্রমেই বাঞ্চনীয় নহে বরং ছাত্র জনতার চেতনা এমনকি আগামীর করনীয় ও দৃশ্যমান বাস্তবতায় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে।
সময় দেয়া হউক এবং সহযোগীতা করা হউক। তবে সঠিক ইতিহাস এবং স্বাধীনতা এবং এর রক্ষায় সজাগ থাকা অতিব জরুরী। বাংলাদেশের মূলে যেন কোনক্রমেই আর আঘাত না আসে সেইদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলা ও বাঙ্গালী আর সার্বজনীন কল্যাণে সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র এবং উচুঁ নীচু ভেদাভেদ ভুলে সকলের সহবস্থান সুনিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই সকলের অংশগ্রহন এবং সহযোগীতা ও সহমর্মীতার সুফল ঘরে তুলা যাবে।
নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংস্কার এবং মানুষের মননের সংস্কার জরুরী। পবিত্রতা মুখে নয়, শরীরে নয় বরং মননে হওয়া প্রয়োজন। কে না চায় দেশের মঙ্গল। সকলেই চাই মঙ্গল এবং দেশ সেবা। তাই এই একই লক্ষে আর বিভেদ নয় বরং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসুন। অতিতকে ভুলে গিয়ে নতুনকে ভালবাসায় আলিঙ্গন করুন। সকলে মিলেই বাংলাদেশ। সকলে মিলেই রাষ্ট্র এবং সরকার আর সকলের জন্যই কার্যক্রম সম্পাদন, সকলকে নিয়েই সামগ্রীক অগ্রগতির লক্ষ্যে পথচলা। কেউ শত্রু নও বরং সকলেই সকলের বন্ধু, ভাই, ভগিনি, বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, খালা-খালূ, ফুফু-ফুফা, শ্বশুর-শ্বাশুরী এমনকি একবাক্যে সৃষ্টির সেরাজীব আশরাফুল মাখলুকাত এর পরিপুর্ণ রূপলাভ করি। আর সৃষ্টি শেষে সৃষ্টি দেখে সৃষ্টিকর্তার প্রতিক্রিয়ার দৃশ্যমান বাস্তবকে স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করি। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিশেষের প্রতিক্রিয়া ছিল এই “অতি উত্তম; চম’কার“। সাপ্তাহিক প্রশান্তি বিগত বছরগুলোতে নির্যাতন, নিষ্পেষন এবং বাস্তবতার কষাঘাতে নানান রকম চরাই উ’রাই পার করে দশম (১০) বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। এই দশম বর্ষের শুরুটা হউক আন্দন্দের, আশা ও ভরসার এবং ভালবাসার। সম্প্রিতির সকল ইতিবাচকতার। মহান খেদা তায়ালা বা সৃষ্টিকর্তার নিকট দেশ, জাতি এবং বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের জন্য শুভ কমনা ও মোনাজাত অবিরত। আগামীর কল্যাণ হউক, সকলের জয় হউক সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ের এবং পরিপূর্ণতা পাক সৃষ্টির উদ্দেশ্যের। শন্তি ও স্থিতিশীলতায় ভরে উঠুক পৃথিবী। অভয়ারন্যে পরিণত হউক এই ধরণীর ধরালয়। বিশ্বব্রাহ্মান্ডের মালিক ইলোহিম এর নিকট এই কামনা করেই আগামীর ইতিবাচক কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে ব্রতী রইলাম আমৃত্যু পর্যন্ত।