প্রশান্তি ডেক্স ॥ থার্টি ফার্স্ট নাইটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মাদকদ্রব্য বহন ও সেবনের অভিযোগে চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য শহীদ সালাম বরকত হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুল হালিমকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে সুপারিশসহ ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত বুধবার (১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হ্রই মুইং স্যাং মারমা ও একই বিভাগের কৃষণ চন্দ্র বর্মণ, তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শিপন হোসেন এবং একই বিভাগের সতীর্থ বিশ্বাস (বাঁধন)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রের পূর্ব দিকে দুই দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ৪ জনসহ মোট ৯ জন মাদক (অ্যালকোহল) সেবনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে ধরা পড়েন।
অন্য পাঁচ জনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন, বেসরকারি উত্তরা ইউনিভার্সিটির একজন এবং প্রাইম নার্সিং কলেজের একজন শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মাদকদ্রব্যসহ আটক করে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কাছে মাদকদ্রব্য পাওয়ায় তাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলাসংক্রান্ত অধ্যাদেশ, ২০১৮ অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল টিম উভয় গ্রুপের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করে এবং বহিরাগত শিক্ষার্থীদের আশুলিয়া থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ ছাড়া প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাদকদ্রব্যসহ ধরা পড়া অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাকি ৫ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’