প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ গাজায় তীব্র শীতে আরও এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) মধ্য গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যু হয় তার। এক মাস বয়সী ওই শিশু হাইপোথার্মিয়ায় মারা গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে সেখানে অন্তত ৬ শিশুর মৃত্যু হলো। ওই শিশুর যমজ ভাইও হাসপাতালে মৃত্যুও সঙ্গে লড়ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।চিকিৎসকদের মতে, গত কয়েকদিনে গাজায় শীত ও ঠান্ডায় শিশু মৃত্যু হার বেড়েছে। গত প্রায় ১৫ মাস ধরে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। তারওপর সেখানে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। হামলার পাশাপাশি শীতেও মারা পড়ছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। মৃত শিশুর বাবা ইয়াহিয়া আল-বাত্রান রয়টার্সকে জানান, গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে একটি অস্থায়ী তাবুতে থাকতেন তারা। তাদের যমজ সন্তান জুমা ও আলি। গত কয়েকদিনের তীব্র শীত ও ভারী বৃষ্টিতে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। গাজায় তীব্র শীতে আরও এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) মধ্য গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যু হয় তার। এক মাস বয়সী ওই শিশু হাইপোথার্মিয়ায় মারা গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে সেখানে অন্তত ৬ শিশুর মৃত্যু হলো। ওই শিশুর যমজ ভাইও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, গত কয়েকদিনে গাজায় শীত ও ঠান্ডায় শিশু মৃত্যুহার বেড়েছে। গত প্রায় ১৫ মাস ধরে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। তারওপর সেখানে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। হামলার পাশাপাশি শীতেও মারা পড়ছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। মৃত শিশুর বাবা ইয়াহিয়া আল-বাত্রান রয়টার্সকে জানান, গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে একটি অস্থায়ী তাবুতে থাকতেন তারা। তাদের যমজ সন্তান জুমা ও আলি। গত কয়েকদিনের তীব্র শীত ও ভারী বৃষ্টিতে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘গত রবিবার স্ত্রী নুরা জুমাকে জাগানোর চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু সে উঠছিল না। আমি জুমাকে তুলে দেখি, সে সাদা হয়ে গেছে এবং বরফের মতো ঠান্ডা, জমে গেছে। আমি আলির কথা জিজ্ঞাসা করলাম, তখন তিনি বললেন সেও উঠছে না। তখনই হাসপাতালে নেওয়া হয় তাদের।’ জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় মানবিক পরিস্থিতি আরও বিপর্যন্ত অবস্থায় পৌঁছে গেছে। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান ও বোমা হামলায় ৯০ শতাংশ মানুষকে অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। কিছু মানুষ বহুবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজায় দ্বিতীয় শীতের যুদ্ধে বারবার বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা গাজায় খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং আশ্রয়ের জিনিসপত্র বহনকারী হাজার হাজার ত্রাণ ট্রাক ঢুকতে দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে, যার ফলে মানবিক সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। উত্তরের শহর বেইত লাহিয়ার বাসিন্দা ইয়াহিয়া আল-বাত্রানের পরিবার যুদ্ধের শুরুতেই তাদের বায়ি ছেয়ে আল-মাঘাজি নামে একটি উন্মুক্ত বালিয়াড়ি এবং ঝোপঝাড়ে ঢাকা এলাকায় চলে আসে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এই এলাকাকে মানবিক এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করেছিল। পরে আল-মাঘাজিতেও হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তখন তারা কাছের দেইর আল-বালাহ শহরের আরেকটি শরণার্থী শিবিরে চলে আসে। এই এলাকার চারপাশে বহু তাবু। কয়েক মাসের ব্যবহারে এরই মধ্যে সেগুলো ছিড়ে গেছে। অথবা প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিতে উড়ে গেছে বা প্লাবিত হয়েছে। পরিবারগুলো ছেঁড়া প্লাস্টিকের শিট জোড়া লাগিয়ে এবং পানি ঠেকাতে বালুস্তুপ করে সেগুলো মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী হামাস যোদ্ধা ও বেসামরিক লোকজনের মধ্যে কোনও বাছবিচার করে না। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ হাজার ৫৪১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৭ হাজার ৪৯২ শিশু। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ জনে পৌঁছেছে।
এই মাসের শুরুতে, মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ইসরায়েলি এবং হামাস নেতারা আশা প্রকাশ করেছিলেন, এটি লড়vই বন্ধ করবে। তবে বছর শেষের আগে কোনও চুক্তি হওয়ার আশা ম্লান হয়ে গেছে।