বিমান দুর্ঘটনার ব্ল্যাকবক্স পরীক্ষা করছে তদন্তকারীরা

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ব্ল্যাক বক্স পাওয়া গেছে। জেজু এয়ারলাইনের ওই ফ্লাইটের ব্ল্যাক বক্স দুটি এখন পরীক্ষা করে দেখছেন তদন্তকারীরা। গত মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানিয়েছে জেজু এয়ার কর্তৃপক্ষ। ওই দুর্ঘটনায় বিমানের ১৮১ আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জনেরই মৃত্যু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ব্ল্যাক বক্স দুটি হলো ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার। তবে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী অংশ অনুপস্থিত, যা থেকে উচ্চতা, গতিবেগ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এটি তথ্য বিশ্লেষণ প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে।

তদন্তকারীরা ধ্বংসাবশেষ ঘেঁটে বিভিন্ন সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, তবে দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও অজানা রয়ে গেছে।

তবে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবার জেজু এয়ারের বিরুদ্ধে সময় মতো তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।

এদিকে দুর্ঘটনার শিকারদের প্রথম দাফনের কাজ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ১৭৪ জনের  পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে আরও পাঁচটি দেহের ডিএনএ পরীক্ষা চলছে। মৃতদেহগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে তাদের পরিচয় নির্ধারণ করা কর্মকর্তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁডড়িয়ে।

ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রবিবার জেজু এয়ারের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ১৭৫ যাত্রী ও ৬ ক্রু ছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র দুজন ক্রু বেঁচে গেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাখির আঘাতে অথবা খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.