ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ শীতের শুরুতে ওরা আসে ঝাঁকে ঝাঁকে। আসে সুদূর উত্তর গোলার্ধ থেকে। তারপর শীতের শেষে ওরা আবার এ অঞ্চল ছেড়ে ডানা মেলে দেয় উত্তরের দিকে। এদেরকে কেউ বলে পরিযায়ী পাখি। কেউ বলে যাযাবর পাখি। কেউবা বলে অতিথি পাখি। আমাদের দেশে অতিথি পাখিরা আসে প্রধানত সাইবেরিয়া, উত্তর ইউরোপ, হিমালয় পর্বত ও তিব্বত অঞ্চল থেকে। শীতকালে আমাদের দেশে আসা অতিথি পাখিদের মধ্যে রয়েছে বুনো হাঁস, খঞ্জনা, ওয়ার্বলার, হাড়গিলা, স্নাইপ বা কাদাখোঁচা, বক, সারস, কোকিল প্রভৃতি। এরা আমাদের দেশের ঝোপ-জঙ্গল, মাঠ-ঘাট এবং জলাশয়ে বিচরণ করে। অতিথি পাখিরা অনুকূল পরিবেশের সন্ধানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়, এমনকি হাজার হাজার মাইল দূরে উড়ে চলে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য।সেই সুবাদে উপজেলার কসবাতেও জলাশয় আছে পছন্দের তালিকা সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার, এরা নির্ভুলভাবে দিক নির্ণয় করতে পারে। সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে একটুও ভুল হয় না। স্থানীয় প্রশাসন বলছে,অতিথি পাখিদের সুরক্ষা দিতে কাজ করতে প্রশাসন।
কসবা উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, শত শত অতিথি পাখির মিলনমেলা। অতিথি পাখিরা কখনো ধনুকের মতো, কখনো ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষরের মতো ত্রিকোণাকারে, কখনো একগাছি ফুলের মালার মতো উড়ে চলে দূর থেকে দূরে, বহুদূরে। অতিথি পাখিরা নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে। এ দূরত্ব কয়েক শ মাইল থেকে শুরু করে কয়েক হাজার মাইল পর্যন্ত হতে পারে। উড়ে চলার সময় বিভিন্ন ভূমিচিহ্ন যেমন নদীনালা, পাহাড়, জঙ্গল প্রভৃতি মনে রাখে। পাখিবিদদের মতে, এ বিশাল দূরত্ব পাড়ি দিতে পাখিরা তিনটি ক্ষমতা ব্যবহার করে। সেগুলো হচ্ছে সূর্য কম্পাস, নক্ষত্র কম্পাস এবং অভ্যন্তরীণ ঘড়ি। দেহের ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে পাখিরা সহজেই বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়ার তারতম্য অনুভব করতে পারে এবং সে অনুযায়ী সেখানে অবস্থান করে।