লাভজনক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করুন প্রকল্প পরিচালক জাহানঙ্গীর আলম

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ লাভজনক পদ্ধতিতে মাছ চাষ নিয়ে আলোচনা। মাছ আমাদের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস। কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং পুষ্টি সরবরাহে মাছের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। একই পুকুওে নানা জাতের মাছ চাষ করা যায়, খাল ও ডোবায় মাছ চাষ করা যায়, আবার চৌবাচ্চায়, খাঁচায় মাছের চাষ করা যায়। কোনো নির্দিষ্ট জলাশয়ে পরিকল্পিত উপায়ে স্বল্পপুঁজি, অল্পসময় ও লাগসই প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছের। বিভিন্ন নিয়ম মেনে প্রাকৃতিক উৎপাদনের চেয়ে অধিক মাছ উৎপাদনই মাছ চাষ। মাছ চাষে লাভবান হতে হলে। মাছ চাষ পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত প্রতিটি পর্বে মাছ চাষিকে বিশেষ কিছু নিয়মকানুন। মেনে চলতে হয় বলে এমন মন্তব্য করেছন মৎস্য অধিদপ্তরের (অংশ) প্রকল্প পরিচালক মোঃ জাহানঙ্গীর আলম।

২১ শে জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের মাগুড়া নানন্দ বিল পাড়ে বিশ্বব্যাংকের। মিশন উপলক্ষ্যে চাষী সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ঋঅঙ) ফিসারীজ এক্সপার্ট মিস্টার মার্টিন কুমার, টাস্ক টিম লিডার বিশ্ব ব্যাংক, ঢাকা অফিস, মিজ সামিনা ইয়াসমিন, সিনিয়র সহকারি পরিচালক মোঃ শামীম উদ্দিন, ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ, হরিপুর অনলাইন প্রেসক্লাব। সভাপতি জসীমউদ্দীন ইতি, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলামসহ উপজেলার প্রতান্ত অঞ্চলের মাছ চাষীগণ। ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) এবং হরিপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে প্রকল্প পরিচালক মোঃ জাহানঙ্গীর আলম আরোও বলেন, মৎস্য খাতের উন্নয়ন আমাদের অর্থনীতির। ভিতকে যেমন মজবুত করবে, তেমনি আমাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টিচাহিদার ঘাটতি পূরণে হবে অন্যতম নিয়ামক। তাই সুচিন্তিত সঠিক কর্মকৌশল ও পরিকল্পনামাফিক যদি এ খাতকে আর বেশি পরিচর্যা করা যায়, তাহলে সুফল মাটিতে ধান বোনা, আর টলটলে জলের পুকুর ও মৌসুমী জলাশয়ে পরিকল্পিত উপায়ে মাছে বাঙ্গালির ভাত ও মাছ খাওয়ার যে পরম্পরা ও রসায়ন আছে, তা অবিচল থাকবে অতীতের মতো।অব্যবহৃত এবং মৌসুমী জলাশয়ে পরিকল্পিত উপায়ে মাছ চাষ করে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.