নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শাহজালাল বিমান বন্দরের রফতানি কার্গো

প্রশান্তি ডেক্স॥ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রফতানি কার্গো। এ ঝুঁকির বিষয়ে গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাড়াতে ওই সভা থেকে ৫টি সুপারিশ করা হয়েছে বেবিচক চেয়ারম্যান বরাবর। চেয়ারম্যান বিষয়টি জরুরি উল্লেখ করে প্রতিটি বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

গত রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সভার সুপারিশমালা চেয়ারম্যানের দফতরে পৌঁছালে তিনি জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে ওই সুপারিশমালায় স্বাক্ষর করেন। ওই সভার কার্যবিবরণী ও সুপারিশমালা এসেছে। কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, রফতানি কার্গো কমপ্লেক্সে স্থাপিত এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ঊউঝ) ও এক্স-রে মেশিন সচল না থাকায় আরএ-৩ স্ট্যাটাস ঝুঁকিতে ছিল। সার্বক্ষণিক কমপক্ষে দুটি ইডিএস (ঊউঝ) মেশিন সচল রাখার বিষয়ে বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর মোহাম্মদ নায়েমুজ্জামান খান গুরুত্ব আরোপ করেন। সিনিয়র সিকিউরিটি কনসালটেন্ট উইং কমান্ডার (অব.) এম সাহিদুর রহমান সভাকে জানান, গত ১০ ডিসেম্বর ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট টিম (উভঞ) রফতানি কার্গো কমপ্লেক্সের আরএ-৩ এলাকা পরিদর্শনের সময় নিরাপত্তা যন্ত্রাবলির রক্ষণাবেক্ষণ তথ্যগুলো পর্যালোচনা করেন। এ সময় তিনি দেখতে পান  চারটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেমের (ঊউঝ) মধ্যে গত ১৩ নভেম্বর থেকে ২ অক্টোবর সময়কালে মাত্র একটি ইডিএস মেশিন সচল ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে কমপক্ষে দুটি ইডিএস মেশিন সচল রাখতে পরামর্শ দেন তিনি। সভা থেকে ৫টি বিষয় দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, রফতানি কার্গো কমপে­ক্সের আরএ-৩ এলাকায় মালামাল সাত দিন ২৪ ঘণ্টা স্ক্রিনিং করার জন্য সার্বক্ষণিক কমপক্ষে দুটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ঊউঝ) মেশিন সচল রাখতে হবে। রফতানি কার্গো কমপ্লেক্সের আরএ-৩ এলাকার লোডিং এরিয়া, মেশিন রুম ও বিল্ডআপ এলাকাতে ধুলাবালি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে, এক্স-রে ও ইডিএস মেশিন রুম লিকপ্রুফ করা কিংবা মেশিন রুমে কার্পেট বিছানো যায় কিনা, এ ব্যাপারে একটি সম্ভাব্যতা যাচাই ও ব্যয় নির্ধারণ করে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বেবিচক চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদন দিতে হবে। রো এ-তে থাকা লাইডস এমভি ৩ডি (খবরফড়ং গঠ-৩উ) মেশিনটি রফতানি কার্গো কমপে­ক্সের আরএ-৩ এলাকায় স্থাপন করা যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করতে হবে। রফতানি কার্গো কমপ্লেক্সে পুরাতন ডিভি এক্স-রে মেশিনের এসটিপি পুরোপুরি কমপ্লায়েন্ট কিনা, এ ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সাপেক্ষে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বেবিচক চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামে কার্গো রফতানি চালু করার জন্য নতুন একটি ইডিএস মেশিন ক্রয়ের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে হবে। এ বিষয়ে বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর মোহাম্মদ নায়েমুজ্জামান খান বলেন, আমরা রফতানি কার্গোকে আরও নিরাপত্তায় আনার ব্যবস্থা করছি। আমাদের সুপারিশ অল্প সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবো। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে রফতানি কার্গো চালুর জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.