প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি চলতি বছর আরও বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জানিয়েছে, একটি পারমাণবিক উপাদান উৎপাদন কেন্দ্র ও পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, কর্মরত বিজ্ঞানী ও অন্যান্য কর্মীদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য এবং অবিশ্বাস্য উৎপাদন ফলাফল অর্জনের প্রশংসা করেছেন কিম। এই পরিদর্শনের পর অস্ত্র-উপযোগী পারমাণবিক উপাদান তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাকে ব্রিফ করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়।
কিমের এই সফর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা প্রকাশ করছে। সম্প্রতি পিয়ংইয়ং নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাত্রা বাড়িয়েছে। বিশেষত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসাকে কেন্দ্র করে তারা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আবারও শুরু করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতে, এসব পরীক্ষা আংশিকভাবে ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য পরিচালিত হচ্ছে।
চলতি বছর আরও বেশি অস্ত্র-উপযোগী পারমাণবিক উপাদান উৎপাদনের পাশাপাশি পারমাণবিক সক্ষমতা বৃদ্ধির নির্দেশ দেন কিম। তিনি বলেছেন, এই বছরটি অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ একটি সন্ধিক্ষণ।
তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে অস্থিতিশীল নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখোমুখি রয়েছে। সবচেয়ে শত্রুভাবাপন্ন দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলমান দ্বন্দ্বের ফলে আজ তারা এ পরিস্থিতিতে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পারমাণবিক সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা ছাড়া অন্য পথ খোলা নেই।
পিয়ংইয়ং দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র মূলত ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদের হুমকি মোকাবিলার উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হচ্ছে। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের সময় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করা দেশগুলোকে এখনও তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করে তারা।
বিশ্লেষকদের ধারণা, উত্তর কোরিয়া এ পর্যন্ত যত পারমাণবিক উপাদান তৈরি করেছে তা থেকে ৯০টির মতো নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড তৈরি করা সম্ভব।