কাফরুল থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি জামালসহ রিমান্ডে-৪

প্রশান্তি ডেক্স ॥ রাজধানীর কাফরুল থানার রাব্বি ও মাহবুব হাসান মামুন হত্যা মামলায় কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফা ও সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম ওরফে তাজুকে ২ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ভাটারা থানার সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ সিন্ধু ও হাবিবুর রহমানকে ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে জামাল মোস্তফা ও তাজুর বিরুদ্ধে ৫ ও ৩ দিন এবং সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় অন্য দুই জনের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

পরে রিমান্ড শুনানিতে জামাল মোস্তফা বলেন, আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। তারা (পুলিশ) আমাকে বলে, তাদের কথা না শুনলে দুইটা মামলা বাড়িয়ে দেবে। কিছু বললেই মামলার ভয় দেখায়।

শুনানিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেতা তো দূরের কথা কর্মীও না। আমার বাড়ি দখল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। এরপর বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তার পদবী জানতে চান। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা। পদবি জানা নেই। তদন্তে বেরিয়ে আসবে। পরে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মাহবুব হাসান মামুন হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর থানাধীন বিআরটিএর সামনে আন্দোলনে অংশ নেন মাহবুব হাসান মামুন (৩৪)। এদিন বিকাল সাড়ে ৪ মটায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করে রাজধানীর কাফরুল থানার গত ২১ নভেম্বর একটি হত্যা মামলা করেন। রাব্বি হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে,  বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই কাফরুল থানাধীন মিরপুর ১৩ এ আন্দোলনে অংশ নেন হাফেজ রাব্বি মাতব্বর। এদিন রাত ৮টায় আসামিদের ছোড়া গুলি তার পেট দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় গত ২ নভেম্বর কাফরুল থানায় হত্যা মামলা হয়।  ভাটারা থানার মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানাধীন মাদানী এভিনিউ ১০০ ফিট রোড ফরাজী হাসপাতালের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন কিশোর মো. সোহাগ মিয়া (১৬)। এদিন বিকাল সাড়ে ৪ টায় আসামিদের ছোড়া গুলি তার বাম কান দিয়ে ঢুকে মাথায় পেছনে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৯১ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করে গত ২০ আগস্ট ভাটারা থানায় হত্যা মামলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.