হৈ হৈ রৈ রৈ… শান্তি, স্থিতিশিলতা ও মানবতা গেলি কই

পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে আজ শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং মানবতার আর ন্যায়পরায়নতার বড়ই অভাব। চারিদিকে হা হা কা র রব উঠেছে হৈ হৈ রৈ রৈ ঐসকল আজ গেলি কই। যার যার প্রাপ্তির হিসাব কষতে গিয়ে এখণ আমরা সবই হারিয়ে বসেছি। যারা চেয়েছিল সার্বজনীন মঙ্গলের জন্য সর্বাঙ্গীক কল্যাণের তরে কাজ করতে; কিন্তু তারা আজ আর পারেনি; তাদেরকে করতে দেয়া হয়নি এবং হবেও না। এটাই চিরায়ত নিয়তির বিধান। তবে চেষ্টা করতে হবে; থেমে গেলে চলবে না এমনকি এই নৈরাজ্য থেকে উত্তরণের প্রাণান্তকর চেষ্টার অব্যাহত যাত্রা দৃশ্যমান রাখাই যেন এখন একটি মুখ্য চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।

যে দুর্নীতির যাত্রা শুরু হয়ে মাত্রাতিরিক্ত আকার লাভ করেছিল সেই আকারে এখন ঘী ঢালা হচ্ছে এবং স্তুতি গেয়ে গেয়ে সেই দুর্নীতিকে নীতিতে পরিণত করতে একটি মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। দূনীতিই যেন এখন নীতি এবং রেওয়াজ। আর এই রেওয়াজে গঁ্যা ভাসিয়ে জাতি এবং জাতীয় স্বত্ত্বা প্রায় বীলিনের পথে। তাই হৈ হৈ রৈ রৈ আওয়াজ এখন থামানো দরকার। সার্বজনীন কল্যাণে দেশের আপামর জনতা জেগে উঠার আগেই বর্তমানের দায়িত্বরতরা সংশোধন, সংযোজন এবং বিয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমত্ত্ব এবং জাতির সার্বিক ও সার্বজনীন অভীপ্রায় পূরনে কাজ সমাপ্তকরণে প্রানান্তকর প্রচেষ্টার ইতি টানতে হবে। নতুবা শিক্ষায় নৈরাজ্য, বাজারে নৈরাজ্য, অফিস আদালতে নৈরাজ্য এবং স্বাস্থ্য সেবায় নৈরাজ্য আর জনজীবন স্তব্দ ও বিপযস্তকর অবস্থায় শান্তি-স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তায় বিপর্যয়কর অবস্থার অবসান করতে হবে। এই অবস্থা আর চলতে দেয়া যায়না সবাই বলে আর আমিও বলি কিন্তু করনীয়তে নতুনত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে; সেই দিকে মনযোগ দিবে হবে।

মুসলিম জাহানের বাদশা সৃষ্টির রাজা এবং আমাদের একমাত্র ভরসা মাবুদ আল্লাহর উপর নির্ভরতা নিয়েই আগামীর কল্যাণের তরে কাজ করার প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। আসন্ন রমজানের তাৎপর্যকে সকল ক্ষেত্রে সিয়াম সাধনায় নিয়োজিত রেখে এগিয়ে যেতে হবে। সৃষ্টির সেবা জীব আশরাফুল মাখলুকাত এর মহিমা চিন্তা এবং কাজে প্রকাশ করে অব্যাহত রাখতে হবে। দুনিয়াকে শাসনের অধিনে এনে এবং সৃষ্টির দেখাশুনা ও পরিচর্যা করতে হবে। নিজের প্রতিবেশীকে নিজের মত করে মহব্বত করতে হবে। ক্ষমা এবং ভালবাসায় সাজিয়ে তুলতে হবে সমাজ সংসার। বিনীর্মান করতে হবে খোদায়ী সংসার ও রাজ্য। যেখানে আর হৈ হৈ রৈ রৈ থাকবে না। থাকবে শুধু শান্তি, স্থিতিশীলত, নিশ্চয়তা আর নিরাপত্তার অভয়ারণ্য। সকলের সঙ্গে সকলে মিলে মিশে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে উঠা-বসার মাধ্যমে চলবে প্রশংসার আর গুনগানের বাহারী আনন্দ উৎসব। এই বেহেস্তী আনন্দ উৎসবে শরীক হয়ে সকলে মিলে সকলের তরে একযোগে কাজ করার যাত্রারম্ভের শুরুটাই এখন সকলের একমাত্র চাওয়া ও পাওয়া।

আসুন আমরা যা আশা করি তা যেন প্রত্যেকেই আগে করে দেখানোর প্রতিযোগীতায় নেমে পড়ি। তবে সকল আশা ও প্রত্যাশা যেন হয় ইতিবাচক কল্যাণের তরে। সকল নেতিবাচকতাকে বিসর্জন দিয়ে ইতিবাচকতাকে আলিঙ্গন করে আগামীর কল্যাণের তরে এগিয়ে যাই এই প্রত্যাশায় ভাষার মাসের বিধায়ে অগ্নিঝড়া মার্চের শুরুতে সেই ভাষা এবং অগ্নিঝড়া মার্চের শিক্ষাকে গ্রহন করে তাৎপর্যপূর্ণ জীবনাচারণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করি। জয় আমাদের হবেই নিশ্চিত কারণ স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আছেন আমাদের সঙ্গে। যেইভাবে হযরত মুছাকে উদ্ধারে এগিয়ে নিয়েছিলেন। আর আজও সেই সৃষ্টিকর্তাই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন এবং এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং যাবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাঁর স্ব মহিয়ায় উদ্ভাসিত করুন এই কামনায় মোনাজাতে নিমঘ্ন থাকতে অপেক্ষারত আমরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.