‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে কোনও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত চীন’

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কৌশলগত উত্তেজনার মধ্যে চীন জানিয়েছে, তারা যেকোনও ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত নতুন শুল্কের জবাবে চীন এই হুঁশিয়ারি দিলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দূতাবাস বলেছে, যদি যুদ্ধই যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া হয় তা বাণিজ্য যুদ্ধ হোক, শুল্ক যুদ্ধ হোক কিংবা অন্য যেকোনও যুদ্ধ—আমরা শেষ পর্যন্ত লড়তে প্রস্তুত। এই বক্তব্যটি দেশটির ওয়াশিংটন দূতাবাসও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করেছে।

ট্রাম্প সম্প্রতি চীনের সব পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন। এর জবাবে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য আমদানির ওপর ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে।

গত বুধবার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ঘোষণা দেন, এ বছর দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট আরও ৭ দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানো হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, শতাব্দীর অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন বিশ্বে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন নিজেকে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনের যুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা দেশ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তবে চীন ওয়াশিংটনের মিত্র দেশগুলোকে নতুন অংশীদার হিসেবে আকৃষ্ট করতে চায় এবং উত্তেজনা আরও না বাড়িয়ে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করছে।

এদিকে, বেইজিং তার অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। চীনের বার্ষিক ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে দেশটির নেতারা এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ। ট্রাম্প প্রশাসনের চীন-বিরোধী সদস্যরা এই বিবৃতিকে ওয়াশিংটনের জন্য প্রধান কৌশলগত ও অর্থনৈতিক হুমকি হিসেবে ব্যাখ্যা করতে পারেন।

চীনের সামরিক বাজেট বর্তমানে ২৪৫ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। তবে দেশটির প্রকৃত সামরিক ব্যয় আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.