এক আছিয়ার লুকান্তরে হাজারো আছিয়ার আহাজারি আজ বাংলার আকাশে, বাতাসে, পানিতে এমনকি হৃদয়ের গহীনে যা ধ্বণীতে ধ্বনীতে উচ্ছারিত হচ্ছে। মানবতা ও বিবেক আজ কোথায় এমনকি মূল্যবোধ কি বাংলার আকাশ থেকে উবে গেছে। বাঙ্গালী জাগরণের অগ্রজে ছিল মূল্যবোধ এবং বিরত্বে ছিল মানবতা এবং বিবেকের ধ্বংশন আর কার্যে পরিণত করেছিল ইমোশন নামক আবেক। আজ মনে হয় এইসবই উদাও। তবে ক্ষণিকের আবেগ তারিত বাঙ্গালী আজও মাঝে মাঝে জেগে উঠে এবং নানারকম কর্মকান্ডে ঝাপিয়ে পড়ে তবে এর কোন স্থায়ী ফায়দা হাছিল হয়নি এবং হতেও দেখিনি। তারপরও আশায় দিনাতিপাত আর কি।
আছিয়ার মৃত্যু একটি অগ্নি স্ফুলিঙ্গ আর বাকি মৃত্যুর ঘটনাগুলো এর তৈল এবং শিখা। তাই এই অগ্নিস্ফুলিঙ্গের তৈল শিখার বেদনায় কাতর হয়ে আগামীর দিশা ঠিক করুন। কোন প্রাণ বিসর্জনই কাম্য নয় তবে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি পরিকল্পনায় এবং তাঁর ইচ্ছায় যা যা কিছু হচ্ছে তার বাইরের সকল কিছুই বেদনাদায়ক। কারণ জন্মিলে মরিতে হইবে এটাই চিরন্তন সত্য। আর মৃত্যুর মাধ্যমেই সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার একমাত্র বিধান এবং সুযোগ। আর এই সুযোগের অপেক্ষায় সবাই। তবে লোভ-লালসা আর ঘৃণা ও ক্ষমতা দ্বারা সৃষ্ট মৃত্যুগুলিকে মেনে নেয়া যায় না। এই মৃত্যুগুলিই ইতিহাসে কলঙ্কিত এবং নেতিবাচক দৃষ্টান্তের স্থান অধিকার করে আছে। আজ আমরা নেতিবাচক কলঙ্কের দ্বীপশিখা মাথায় নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। এর থেকে মুক্তির পথ খোজা অতিব জরুরী।
চারিদিকে শুধু ক্ষমতার বাহাদুরী মহড়া দিচ্ছে। কিন্তু এই ক্ষমতার বাহাদুরিতেই আছিয়ারা আজ দিশেহারা, ঘরহারা, প্রাণহারা এমনকি যাযাবরেও পরিণত হচ্ছে। হচ্ছে বাস্তুচ্যুত্য এমনকি উদাস্তুু। রাজনৈতিক ক্ষমতা, দলীয় ক্ষমতা, সামাজিক ক্ষমতা, পারিবারিক ক্ষমতা, রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার কাছে আজ জিম্মি মানবতা। এই ক্ষমতার দ্বন্ধেই আজ দিশেহারা সর্বশান্ত, পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত জাতি। এই জাতিকে উদ্ধারে এগিয়ে আসতে হবে হযরত ঈসার সকল বানী নিয়ে। নি:শর্ত এবং নি:স্বার্থ ক্ষমা ও ভালবাসা আর সেবার মনেবৃত্ত্বি এই সমাজে, পরিবারে এমনকি দেশে কায়েম করতে হবে। তাহলেই ঐসকল চলমান জেল-জুলুম আর ক্ষমতার মহড়া থেকে মুক্তি মিলবে। হযরত ঈসার অল্পদিনের পৃথিবীর জীবনী পড়ে আসুন এবং কিভাবে এই জাতি এবং পৃথিবীর মানবকুলকে সুশৃঙ্খলতায় ফিরিয়ে আনা যায় তার একটি পথরাস্তা আবিস্কার করুন। আগামীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তায় রোডম্যাপ তৈরী করতে হযরত ঈসার দেখানো পথকে অনুসরণ করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সহিহ্ করে আগামীর কল্যাণে সকলের প্রতি সদয় হতে সহায়তা করুন। সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে এই উক্তিতে পর্যবসীত করুন।
পৃথিবীর ঘূর্ণায়মান ক্ষমতার পালাবদলে বাংলাদেশ আজ বিপর্যস্ত। এই যে মানুষ আজ রাস্তায়, আন্দোলন, প্রতিবাদ, রুটি রুজির জন্য আইন-কানুণের তোয়াক্কা না করে যার যার ইচ্ছানুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। কেউ কাউকে আর মানছে না, শুনছেনা কারো কথা। রাখছে না প্রতিশ্রুতি ও মানবতার আর্তনাদ। সবই যেন হযবরল। এই ক্ষেত্রে ক্ষমতার যান্ডা যেন বেকে যাচ্ছে। দায়িত্বরতরা মন্তর গতিতে এগুচ্ছে এবং স্ব স্ব দায়িত্বে স্থবির হয়ে পড়ছে। কি আর করার তাই যার যার ক্ষমতায় প্রত্যেকেই এগুচ্ছে। কারণ ক্ষমতায়ই যেন একমাত্র বেঁচে থাকার হাতিয়ার। বাস্তবের দৃর্শনীয় শিক্ষার আলোকে সবাই এখন ক্ষমতা দেখাতে ব্যস্ত। আইন, অফিস-আদালত এবং সমাজের সর্বস্তরে এই ক্ষমতার মহড়ায় এখন ক্লান্ত। যার ক্ষমতা আছে সেই এগিয়ে যাচ্ছে, মামলায়, বিচারে, পদ দখলে, ভুমি দখলে, চাঁদাবাজিতে, হামলায়, গলাবাজিতে, অফিসিয়াল কর্ম সম্পাদনে, রুটি রুজির বাজারেও এই হালচাল বর্তমান এবং দৃশ্যমান। তাই এর থেকে মুক্তির পথ বাতলানো জরুরী। এর উত্তরণে পথ পরিক্রমা আবিস্কারে নির্মোহ আম জনতার আরেকটি বিল্পবাসন্ন।
এক ফেরাউনের লুকান্তরে এখন যেন লক্ষ ফেরাউন ঘরে ঘরে উদ্ভাসিত এবং উজ্জ্বিবিত হয়ে বাংলাকে চিরে খেয়ে খোলসে পরিণত করতে ব্যতিব্যস্ত। কি আর করা যায় আম জনতার পক্ষে, চুপটি করে ক্ষয়ীষ্ণু জীবন অবসানের প্রহর গুনতে গুনতে সর্বস্ব হারিয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগে ব্যতিব্যস্ত। খোদার কাছে অভিমান ও অনুযোগ আর ক্ষোভ এবং ঘৃণা নিয়ে ফিরে যাওয়া আছিয়ার পথই এখন আগামীর অনুসরনীয়, অনুকরনীয় একমাত্র অবলম্বন। এই অবলম্বনে বুক চাপরে চাপরে হাতরিয়ে হাতরিয়ে মরিতে চাহিনা আমি এই সুন্দর ভুবনে কিন্তু থাকিতে পারিনা আমি শত ম্যাটিকুলাস যন্ত্রণার কারণে। তবুও বাঁচিবারই ন্যায় আমার মৃত্যুটা হয় শত যন্ত্রণার অতল গহবরে।
হযরত মূসার ন্যায় কে আসবে এই জাতিকে মুক্তি দিতে? নাকি এখানেই শেষ কেয়ামতের নরক যন্ত্রণার। যন্ত্রণাকাতর ছটফটানিতে জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত সকল সৃষ্টির সেরা মানবকুল। এই আশায় মিনতি করি মহান রবের নিকট কারণ তিনিই একমাত্র আশা, অবলম্বন এবং পথ; আর তাঁর নিকটই প্রত্যার্পন এবং নিশ্চিন্ত এবং নির্ভার। তোমার কাছেই সকল আব্দার আমার তুমি কবুল কর মালিক। এই ফরিয়াদ আজ এবং আগামীর তরে নির্যাতিত ও নিপিড়িতের কল্যাণে।