ঈদ উপলক্ষে গণপরিবহন ও পথচারীদের জন্য ডিএমপির নির্দেশনা

প্রশান্তি ডেক্স ॥ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী ও ঢাকার বাইরের ঈদযাত্রা সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে গণপরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী এবং পথচারীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা অনুসরণ করার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। 

গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ঈদযাত্রায় যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সঠিক সেবা নিশ্চিত করতে নিম্নলিখিত নির্দেশনাবলি অনুসরণ করতে হবে:

১। আঞ্চলিক বাসগুলোকে টার্মিনালের ভেতরে যাত্রী উঠিয়ে সরাসরি গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতে হবে। বাসগুলোকে টার্মিনালের বাইরে সড়কের ওপরে দাঁড় করানো যাবে না।

২। অনুমোদিত কাউন্টার ব্যতীত রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো বা নামানো যাবে না।

৩। ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ বা বাহির হওয়ার রাস্তাগুলোতে গাড়ি পার্কিং করা নিষেধ।

৪। বিআরটিসি বাসগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগের জেলায় যাওয়ার জন্য ঢাকা মহানগরী অতিক্রম না করে সরাসরি গন্তব্যে যাবে।

৫। শিডিউল অনুযায়ী টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়তে হবে।

৬। যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি টাকা আদায় করা যাবে না।

৭। যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা হয়রানি করা যাবে না।

৮। একই সিটের টিকিট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রি করা যাবে না।

৯। বাসের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না।

১০। গাড়িচালককে গতিসীমা মেনে গাড়ি চালাতে হবে এবং অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১। ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এলাকা, রাস্তার বাঁক ও সরু ব্রিজে ওভারটেকিং করা যাবে না।

১২। নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে, শারীরিকভাবে অসুস্থ বা ঘুমন্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো যাবে না।

১৩। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং হালনাগাদ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না।

১৪। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন বা হেডফোন ব্যবহার করা যাবে না এবং গাড়িতে উচ্চস্বরে গান বাজানো যাবে না।

১৫। উল্টো পথে গাড়ি চালানো নিষেধ।

১৬। ড্রাইভিং লাইসেন্সের বৈধতা যাচাই করে গাড়িচালক নিয়োগ করতে হবে।

১৭। মালিকরা চালককে একটানা ৮ ঘণ্টার বেশি চালাতে বাধ্য করতে পারবেন না।

১৮। ফিটনেসবিহীন, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত বা কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী বাসগুলো রাস্তায় নামানো যাবে না।

যাত্রী সাধারণের উদ্দেশে: যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুবিধার্থে কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

১। সড়কে দাঁড়িয়ে বাসে না উঠে, নির্দিষ্ট টার্মিনাল বা কাউন্টারে গিয়ে বাসে উঠতে হবে।

২। অপরিচিত কারও দেওয়া খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩। মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে এবং তা কোনোভাবেই অপচয় বা হারানো যাবে না।

৪। যাত্রার নির্ধারিত সময়ের আগে কাউন্টার টার্মিনালে উপস্থিত থাকতে হবে।

৫। রাস্তা পারাপারে ফুট ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস বা জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।

৬। চলন্ত গাড়িতে ওঠানামা করা এবং পণ্যবাহী মোটরযানে যাত্রী হয়ে যাতায়াত করা যাবে না।

৭। জরুরি প্রয়োজনে টার্মিনালের পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।

পথচারীদের উদ্দেশে: পথচারীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা।

১। রাস্তা পারাপারে অবশ্যই জেব্রা ক্রসিং, ফুট ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস ব্যবহার করতে হবে।

২। মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় রাস্তা পারাপার করা যাবে না।

৩। ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে হবে এবং রাস্তার ওপর অব্যবহৃত জায়গা ব্যবহার করা যাবে না।

ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা কামনা এবং নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.