প্রশান্তি ডেক্স ॥ সকাল থেকে ঝড়-বৃষ্টি। ফলে লোডশেডিংয়ের মধ্যে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে মোমবাতি জ্বালিয়ে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দিয়েছে ৬৫০ জন শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা।

যদিও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঝড়ের তান্ডবে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লোডশেডিং দিতে হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি ও ঝড় হয়। এরই সঙ্গে লোডশেডিংও শুরু হয়। সকাল ১০টায় সারা দেশের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলে পরীক্ষাকেন্দ্রের কক্ষ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। এতে করে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে কিছু কক্ষে পানি প্রবেশ করায় ও অন্ধকারে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থীরা জানায়, প্রশ্নপত্র দেওয়ার আগেই বৃষ্টি ও ঝড় আসে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে যায় এবং কক্ষের সবজায়গা অন্ধকার হয়ে যায়। পরীক্ষা শুরুর সঙ্গেই কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মোমবাতির ব্যবস্থা করে। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটি বেঞ্চে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয় কর্তব্যরত পরিদর্শক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন করে তারা। তবে মোমবাতির আলোতে একটু ঝামেলাতে পড়তে হয়েছে।
ঝাড়বাড়ী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম জানান, সকালে আকাশ অন্ধকার হয়ে বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হয়। এর পরপরই লোডশেডিং, কক্ষের বাতিগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তবে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই কক্ষে মোবাইল জ্বালিয়ে, চার্জার লাইট জ্বালিয়ে মোমবাতির ব্যবস্থা করা হয়। পরে প্রতিটি শিক্ষার্থীর সামনে মোমবাতির আলো যাতে পৌঁছায় সেজন্য বেঞ্চে মোমবাতি দেওয়া হয়। এতে করে পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হয়নি। এই কেন্দ্রে মোট ৬৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম জানান, ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে গাছ পড়ে বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য লোডশেডিং দিতে হয়েছে। তবে লাইন মেরামত করে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার পর সব স্বাভাবিক হয়েছে।
কথা হলো বীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. জুলফিকার আলী শাহ বলেন, ‘এই বিষয়টি আমার জানা নাই। ওই কেন্দ্রে ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক। তিনি বিষয়টি বলতে পারবেন।’
এ ব্যাপারে কথা বলতে এনামুল হকের মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফোন রিসিভ করেননি বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আহমেদও।