রাজনীতি একটি বহুল প্রতিষ্ঠিত এবং প্রচলিত শব্দ। এই শব্দটি বর্তমানের লোভনীয় এমনকি আতঙ্কিত এই দুইয়েই পরিণত হয়েছে। তবে এর উপকারীতা আর অপকারীতা এই দুইয়ের সংমিশ্রনের নতুন আবিস্কার দরকার। এই উপকারীতা এবং অপকারীতা এই দুই থেকে কেউই শিক্ষা নেয়নি এবং নিতে আগ্রহীও নন। তবে অপকারীতার চেয়ে উপকারীতাই বেশী বলে দৃশ্যমানতায় পরিক্ষলক্ষিত হয়। তাই সবাই রাজনীতিতে ঝুকছে এবং রাজনীতিবীদ হতে উদগ্রীব। বর্তমানের রাজনীতি আমাদেরকে কি কি শিক্ষা দেয় তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং এই শিক্ষা থেকেই আগামীর রাজনীতির বীজ বুনতে হবে।
রাজনীতির উপকারীতা: যদি আপনি রাজনীতিবীদ হউন তাহলে পাবেন রাষ্ট্রীয় সম্মান, মানবীক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ক্ষমতা এই সকলই আপনাকে উচ্ছাসনে অধিষ্ঠিত করবে। আপনার সামনে ও পিছনে লোকে লোকারণ্যে পরিণত হবে। কথায় আছে বাপ দাদার চিনা নেই চানমোল্লার বিয়াই সেজে মানুষজন আপনাকে ঘীরেই তাদের ভবিষ্যৎ কর্মকান্ড পরিচালিত করবে। তবে এতে আপনারও লাভ। উভয়েই লাভের হিসেব নিকেষ কষে সামনে অগ্রসর হবে।
এই রাজনীতিকে পুজিঁ করে আপনি হয়ে উঠবেন সমাজের ও রাষ্ট্রের ১ম শ্রেণীর ও প্রথস সারির অধিকারী। ক্ষমতা ও পুজিপুত্তির মহড়ায় আর সামাজিক এবং স্যোসাল মিডিয়ায় আপনার প্রচারণায় মুখর অবস্থার মহা নায়ক। এই ভাবগাম্বিয্য একসময় আপনার আপনাকে ভুলিয়ে দেবে এবং নতুন আপনি প্রতিষ্ঠীত হয়ে সকলকে ভুলে গিয়ে শুধু ক্ষমতা আর অর্থ ও বিত্তর্কে আগলে ধরে দিনগুজার করতে অভ্যস্ত হবেন এবং স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা এবং তাঁর সকল অভিপ্রায় ভুলে একজন ছলনাময়ী হয়ে নিজেকে ভালমানুষ এবং আদর্শবাদ ও দয়ালূ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকতে চেষ্টা করবেন।
রাজনীতি আপনাকে রক্ষাকবজ হিসেবে খুণ, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি এবং রাহাজানিসহ সকল অন্যায় থেকে রক্ষা করবে। নিশ্চয়তা দিবে খুনের দায় থেকে এবং বিচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে। যদি কোনদিন জেলেও যেতে হয় তাহলে রাজবন্দী হিসেবে নিজেকে তকমা দিয়ে মাথা উচুঁ করে থাকতে পারবেন। রাজনীতির কারণে কতইনা সুযোগ।
রাজনীতির কারনে চাকুরী, ব্যবসা এবং অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। রাজনীতিবীদ হওয়ার সুবাদে সমাজে মাতব্বরিও করে যেতে পারবেন। যত সুযোগ ও সুবিধা সবই রয়েছে বর্তমানের রাজনীতিতে। সংক্ষিপ্তাকারে এখানে রাজনীতির সুফল’র সারবত্তাই প্রকাশ করা হলো।
রাজনীতির অপকারীতা: এর অপকারীতা অল্প এবং ক্ষণস্থায়ী তারপরও ভাবার বিষয়। প্রথমত রাজনীতিবীদের বাড়ীঘর ভাংচুরে পরিণত হওয়া। ব্যাংক একাউন্ট জব্দ হওয়া। দেশের বাইরে যাওয়া বন্ধ হওয়া। স্বাভাবিক জীবন বিপন্ন হওয়া। পালিয়ে বেড়ানো। জেলে যাওয়া। সকল অপকর্ম প্রকাশিত হয়ে জনদুশমনে পরিণত হওয়া। জনবিস্ফোরণের গণধোলাইয়ে পরিণত হওয়া। জীবন বিপন্ন করাসহ যাবতীয় লজ্জাস্কর পরিস্থিতির মাধ্যমে সমাজ সংসারে ঘৃণায় এমনকি কিছু সময়ের জন্য একঘরে হয়ে থাকা। এই সবই বর্তমান রাজনীতির অপকারীতা। তবে এই অপকারিতার মাধ্যমেও রাজনীতিবীদরা তৃপ্তিই পান কারণ তাদের অপকর্মকে রাজনীতি দিয়ে ঢেকে দিয়ে দাত কেলিয়ে লোকালয়ে প্রকাশ্যে আসার সুযোগ খুজেন এবং কিছুকাল অতিক্রান্ত হওয়ার পর আবার ফিরে আসেন।
এখানে রাজনীতির উপকারীতা ও অপকারীতা সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হলো যা বর্তমানে বিরাজমান। আর এই বিরাজমানতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর রাজনীতি ফিরে আসুক নিতি ও আদর্শের এমনকি রাজনীতির স্বমহিমায়। আরো ফিরে পাক সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের যোগসুত্র। তবেই রাজনীতি হবে কলুষমুক্ত এবং সকলের কল্যাণের জন্য উন্মুক্ত। আমি কাউকে আঘাত দিতে বা কাউকে উৎসাহিত হতে এই বিষয় উত্থাপন করিনি বরং আমাদের আগামীর গন্তব্য ঠিক করতে দুটি পথই খোলা যা থেকে সঠিক পথটি বেছে নেয়ার আহবানই করবো। রাজনীতির সঙ্গে সৃষ্টিকর্তাকে জড়িয়ে তাঁর নীতি ও আদর্শকে নিয়ে রাজনীতির স্বার্থকতা খুজুন। তাহলেই বর্তমানের থেকে উত্তরণের পথ সহজ হবে এবং মানব কল্যাণ ও সৃষ্টির অভীপ্রায় পরিপূর্ণ হবে।