প্রতারণার জাল

পৃথিবী এখন প্রতারণার মায়ার জালে আবদ্ধ। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মানুষের কোন পথ খোলা নেই। তবে সৃষ্টিকর্তার পথ ও মত দ্বারা খোদাবিচ্ছিন্ন মানুষগুলো প্রতারণার জাল থেকে বের হয়ে আসতে পারে। কোথায় আছে খোদার দেখানো ও শিখানো পথ? কিভাবে পাওয়া যায় সেই শান্তিময় নিরবচ্ছিন্ন পথ? খোজে দেখার এখনই সময়। কোথায় ও কিভাবে এবং কারা কারা প্রতারণার মায়ার জালে আবদ্ধ এবং এই জাল বিস্তাওে কে কি ভুমিকা রাখছেন তা এখন খুজে বের করার দরকার।

কোথায় নেই প্রতারণা; রাজনীতি, ধর্মনীতি, কর্মনীতি, পরিবারনীতি, সেবানীতি, আদর্শ দৃষ্টান্ত স্থাপনকারীনীতি, সামাজিক বন্ধনের নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যনীতি এমনকি পৃথিবীর সবখানেই এখন প্রতারণায় ভরপুর। তবে প্রতারণার বিভিন্ন মুখোশ এবং আবরণ দ্বারা জনসম্মুখ্যে প্রকাশিত হয়। তবে এই প্রকাশিত হওয়াতে ধরন ও গরণ সবই জনতার কল্যাণের নিমিত্ত্বে আবৃত। কিন্তু এরই মাঝে রয়েছে শুভঙ্খরের ফাঁকি। আর এই ফাকিতেই ররেছে প্রতারণার মায়ার জাল।

সেবাদানে নিয়োজিত সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো সুক্ষ প্রতারণার জাল বিস্তার করে রেখেছে। যেখানেই যাবেন যেন সেবা পাবেন কিন্তু তা ঠিক নয় বরং এর আড়ালেই রয়েছে প্রতারণার মহাজাল। অর্থ সম্পদ এবং শারিরীক সম্পদ আহরণের এমনকি সামাজিক সম্মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই জাল বিশাল ও বিস্তৃতরূপে কাজ করে। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন কিন্তু ঐ মায়ার আড়ালে জড়ানো লোভাতুর জাল ভেদ করতে পারেন না।

রাজনীতি একটি বড় মায়ার জাল এবং এই জাল ভেদ করা খুবই কষ্টকর। কারণ এই জালে নেই নীতি ও আদর্শ। আশে শুধু প্রতারণার নব নব কৌশল। আর এই কৌশলের ফাদে পড়ে  মায়ার জালে আবদ্ধ পরিবার, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্র এবং সর্বোপরী পৃথিবী। তাই এই রাজনীতিতে মায়ার জাল এখন জন আতংক সৃষ্টি করেও এর থেকে উত্তরণের পথ খোজে পাওয়া দূরুহ। বাংলাদেশসহ বিশ্ব রাজনীতি বিশ্লেষণ করলে এই অভিজ্ঞতাই খুজে পাওয়া যায়। রাজনীতি শাপেরেও দুধ দেয় এবং একই সাথে বাঘেরেও দুধ দেয়। তাই রাজনীতিবিদ প্রতারণার মায়ার জালে উভয়কেই আবদ্ধ করে নিজ নিজ রসদ সংগ্রহ করেন। সেই রসদেই পৃথিবীর মঞ্চে রাজনীতির বিষবাস্প ছড়ান।

দেখা যায় বিশ্ব রাজনীতি এখন মানুষের চোখে দুলা ছিটাচ্ছে মানবতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে কিন্তু মানবতা ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে সকল আচরণ অব্যাহত রেখেছে। চলামান দুইটি বিষয় উল্লেখ্য এবং এর সঙ্গে পৃথিবীর মেরুকরণ ও যার যার লাভের সন্ধানের ছোটা পদক্ষেপগুলোই বিভেকসম্পন্ন মানুষের কাছে পরিস্কার করে কি হচ্ছে এবং ঘটছে আর কিইবা করার আছে। ইরান ও ইসরাইল দ্বন্ধ এবং সংঘাত আর আমেরীকার ফাঁকা বুলি এমনকি ধ্বংসাত্মক গুলি এই সবই জনতার চোখে আই ওয়াশ মাত্র। এই আই ওয়াশের পিছনে রয়েছে অর্থ, ক্ষমতা এবং নিজের অবস্থান পাকাপোক্তকরণ। তবে সবই প্রকাশিত ও প্রমানিত হয় নিরিহ প্রাণের বিসজর্নের মাধ্যমে। অর্থ সম্পদ ধ্বংসের মাধ্যমে। কিন্তু এর কোন প্রতিকার নেই। প্রতিবাদ আছে কিন্তু কোন কার্যকর উপকার নেই। কারণ সবাই এখন ঐ পাতানো প্রতারণার মায়ার জালে আবদ্ধ। ইউক্রেন রাশিয়াও ঠিক এমনই এক পদক্ষেপে যুক্ত।

ইউরোপ, আমেরীকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়া এইসকল দেশে যা যা ঘটেছে তার সবই হলো প্রতারণার জালের কূটকৌশল মাত্র। কিন্তু এই কূটকৌশলের শিকার হলাম আমরা এবং পরিবেশ ও সমাজ আর সংস্কৃতি। এর থেকে বের হওয়ার উপায় কি? জনতা কি এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেছে বা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভাব করছে নাকি বিপরিতে ঐ প্রতারণার সঙ্গে গ্যা ভাসিয়ে দিয়েছে। সেটিও খোজে বের করতে হবে। এর বিরুদ্ধে জনতা জেগে উঠে এবং উঠেছে তবে তা দেরিতে এমনকি সর্বনাশ হওয়ার পরে। তবে জনতার জেগে উঠাতে তেমন একটি লাভ হয়নি। শুধু ক্ষমতার পালাবদল বা চেহারা পাল্টিয়ে নতুন আঙ্গিকে আরো মহাপ্রলয়ের সঙ্গে প্রতারণার জাল বিস্তার লাভ করছে। তবে তা উপলব্দি করতে পারছে কিন্ত এর বিরুদ্ধে দাড়াতে সময় নিচ্ছে বলে প্রতিয়মান হয়।

মোবাইল এ বিভিন্ন একাউন্ট যা স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এমনকি ইমেইল একাউন্ট আর ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করার মাধ্যে প্রতারনার জাল বিস্তারে সয়লাভ হচ্ছে। প্রতারনার মাধ্যমে সহজ সরল মানুষজনদের অর্থ ও বিত্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। সবই অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে আলোর ঝলকানিতে এসেই করে যাচ্ছে। থামার বা পরিতাপ ও অনুশোচনার কোনরকম ইচ্ছা ও আগ্রহ যেন নেই বরং আরো বহুগুন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত প্রতারণার কৌশল নিয়ে মাঠে নামছে।

এর কারণ কি? কারণ একটাই আর তা হলো সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে দুরে সরে যাওয়া। কারণ সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করে সকল কিছু বৈধ এবং ভোগ করা এমনকি দেখাশুনা ও পরিচর্যার এমনকি সৃষ্টিশীল হয়ে উঠার সুযোগ দিয়ে উন্মুক্ত করেছিলেন। বাধাহীন জীবন যাপনের যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু কি হলো- প্রথমেই অবাধ্যতা। তারপর সৃষ্টিকর্তাহীন একক যাত্রা আর এই যাত্রাপথেই যত বিপত্তি। আর সেই বিপত্তিতে আবার সৃষ্টিকর্তার সহযোগীতা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দৃষ্টি। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। আবার সেই বিপত্তির তলানী থেকে এই মানব জাতীকে উদ্ধারে করে নিয়ে যাওয়া কিন্তু এই নিয়ে যাওয়াতে সৃষ্টিকর্তা একটি দৃষ্টান্ত ও শিক্ষা আর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। যে তিনি আগে যাচ্ছেন এবং তার পিছে পিছে সবাইকে ডান বাম এমনকি পিছনে না তাকিয়ে বিশ্বাস ও নির্ভরতায় সামনে এগিয়ে যেতে। কিন্তু এখানেও বিপত্তি। কেউ কেউ গেল আর কেউ কেউ ডান বাম এমনকি পিছনে ফিরে গেল। সৃষ্টিকর্তার নিজস্ব লোক হিসেবে যারা সঙ্গে গেল তারাও আর বেশীক্ষণ সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে থাকল না। তাই বর্তমানে পিছনের মানুষ এবং ডান বাম আর সৃষ্টিকর্তার সঙ্গের মানুষ একই বৃত্তে আবৃত তবে বিভিন্ন খোলসে যুক্ত।

তাই এই প্রতারণার মায়ার জাল মুক্তকরণে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে পেতে হবে এবং তাঁর সঙ্গে সার্বক্ষণিক অবস্থান সুনিশ্চিত করতে হবে। সৃষ্টিকর্তার সার্বক্ষণিক অবস্থানই পারে চলমান ধারাবাহিক বাহারি প্রতারণার মায়ার জাল থেকে সবাই মুক্ত করতে। আসুন আমরা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে নিজেদেরকে যুক্ত করি এবং তাঁর সকল কিছু নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি মহা প্রতারণার মায়ার জাল এর উপর। সৃষ্টিকর্তার পবিত্রতায় এবং জ্ঞান, বুদ্ধি ও পরাক্রম আর ক্ষমা ও ভালবাসায় শান্তিময় নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা এমনকি বেহেস্তের আদলে পৃথিবীর যাত্রা সুনিশ্চিত করি। পৃথিবী থেকেই চীরস্থায়ী আবাস বেহেস্তের যাত্রা শুরু করি। সেইসব বিষয়গুলোকে নিয়ে সর্বময় চিন্তা ও ধ্যান এবং জ্ঞান ব্যাবহার করে সৃষ্টিকর্তার কমী হিসেবে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখি। যারা যারা যুক্ত আছেন তারা এখন নিজেদের কাজের ত্রুটিগুলোকে খুঁজে বের করুন এবং সেই আলোকে আগামী দিনের স্রষ্টাকে বর্তমান ও অতীত এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজ নিজ হ্রদয়ে ধারন ও লালন করি। যেন তিনি আমাদের নিজ নিজ হৃদয়ে বসবাস করতে পারেন এবং আমাদের প্রত্যোককে পরিচালনা করিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.