এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে সক্রিয় হচ্ছেন বিদিশা

প্রশান্তি ডেক্স॥ আগামী ১৪ জুলাই সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন জাতীয় পার্টি এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে আবারও সক্রিয় হচ্ছেন বিদিশা। ২০২০ সালে তার হাত ধরে শুরু হওয়া ‘জাতীয় পার্টির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া’কে সামনে রেখে আবারও সামনে আসছেন তিনি। আগামী ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি অংশ নেবেন আলোচনায়।

বিদিশাপন্থি একাধিক নেতা জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ জাতীয় পার্টির সিনিয়র কয়েকজন নেতা একেবারে নীরবতা অবলম্বন করেন। রওশন এরশাদ নীরব অবস্থান গ্রহণ করেন। এই অংশের মহাসচিব হিসেবে কাজী মামুনুর রশীদ মাঝে মধ্যে বিবৃতি দিলেও বিদিশার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। যদিও এই অংশের নেতাদের অনুরোধে বিদিশা ও এরিক আবার সক্রিয় হচ্ছেন বলে একাধিক নেতার দাবি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকালে বিদিশা বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির রাজনীতি দেশের জন্য প্রাসঙ্গিক। আগামী নির্বাচন ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি মানুষের কাছে আকাঙ্ক্ষার বিষয়।’

‘দলের নেতাকর্মীরা চান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সন্তান এরিকও সক্রিয় হোক। ছেলের মতো আমিও চাই তার পাশে থাকতে, মানুষের জন্য কাজ করতে। আগামী ১৪ জুলাই সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের দল নতুন বার্তা দেবে’, বলেন বিদিশা।

গত কয়েক মাস ধরে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে চলছে দ্বন্দ্ব-বিরোধ। ইতোমধ্যে জি এম কাদের নেতৃত্বাধীন অংশে চলছে তীব্র বিরোধিতা। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দল থেকে বাদ পড়েছেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমীন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নু। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ; যিনি ছিলেন জাতীয় পার্টি (রওশন) অংশের অন্যতম নেতা। ২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি অংশ ভাগ হয়।

জি এম কাদের তার দলের মহাসচিব হিসেবে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে নিয়োগ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ জুলাই এরশাদের স্মরণে অনুষ্ঠেয় সভায় বিদিশা অংশ নেবেন। দলের সিনিয়র নেতারাও অংশ নিতে পারেন অনুষ্ঠানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.