উচিত / অনুচিত

কোনটি সঠিক আর কোনটি ভুল; কোনটা বলা এবং করা উচিত আর কোনটি বলা এবং করা উচিত নয় সেটি এখন ভুলে গিয়ে মনগড়া এবং চাপিয়ে দেয়া নীতি ও রীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ এবং জাতি। উচিত এবং অনুচিত এই দুইটি শব্দের দ্বন্ধের সঙ্গে মিশে গিয়ে মানুষ একাকার হয়েছে। আর এর ফলশ্রুতিতে উচিত এবং অনুচিতকে একটি শব্দতে পরিণত করেছে বৈকি। যুগের এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে থামুন এবং একটু বিশ্রাম নিন। তারপর সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে ভাবুন এবং অতিত ও বর্তমান আর ভবিষ্যৎকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করুন।
মানুষ এখন উচিত কথা বলা এবং উচিত কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ উচিত বললে কারো না কারো ক্ষতি সাধিত হয় আর ঐ ক্ষতির জের পুষিয়ে নিতে উচিত বলা লোককে জীবন পর্যন্ত দিতে হয়। তাই উচিতের পথে কাটায় অনুচিতের জয়জয়াকার অবস্থার বিরাজমান এই বিশ্বলয়ে অনুচিতের আস্ফালন নতুন পৃথিবীকে স্বাগত জানাচ্ছে। তাই সাবধান হউন। সময় এখনও ফুরোয়নি। তবে একটি কথা বলতে হয় ুসীমালঙ্গনকারীকে সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ তায়ালা) পছন্দ করেন না।” আর আল্লাহ (সৃষ্টিকর্তা) যাকে পছন্দ করেন না তার সবই অন্ধকার। যদিও পৃথিবীতে দাপট ও জৌলুষ দেখিয়ে বাহিরে বাহিরে কৃর্ত্তীম সুখানুভব করছে কিন্ত ভিতরে ভিতরে খোদা শুন্যতায় হতাশায় খা খা কার করছে।
কথায় আছে ুছোট মুখে বড় কথা বলা ভাল না” তাই আর জন্ম থেকে শিখে ও দেখে আসা এই কথার বাস্তবতায় কান দেয়। কারণ ছোট মুখে বড় কথার ফল সুমিষ্ট নয় বরং তিতা ও বেদনাদায়ক। কথাগুলো একটু মনযোগ দিয়ে ভাবুন। আর নিজের নিজের অবস্থান চিন্তা করুন। দ্রুতলয়ে এগিয়ে যাওয়া পৃথিবীতে যে জঞ্জাল সৃষ্টি হচ্ছে তা কিন্তু আমাদের সকলেরই অশান্তির কারণ। আর এই স্ব স্ব অশান্তির মূলে কিন্তু আমরা নিজেরাই। তাই সময় থাকতে ভাবুন। স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা যায় কিন্তু মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তবে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে অনেক ত্যাগ ও বেগ পেতে হয় কিন্তু মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা দিতে ত্যাগ আর বেগের প্রয়োজন হয় না। কারণ মিথ্যা সাময়িক প্রতিষ্ঠা পায় কিন্ত ক্ষণিকের পরেই আবার মিথ্যা ভারসাম্য হারিয়ে সত্যের কাছে পরাজিত হয়। তাই ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সকলেরই সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
দেশ এখন অনুচিতের দাপটে এক মহা সংকটের দিকে এগুচ্ছে। তাই এই অগ্রগামীতা থেকে বিশ্রামের জন্য একটু থামা দরকার। আর বিশ্রামের পর সঠিক চেতনায় এবং সৃষ্টিকর্তার পরিচালনায় বাকিপথটুকু এগিয়ে যাওয়া এখন যুগের দাবি। এই দাবি থেকে যারাই ছিটকে পড়বে তারাই লাইনচুত্য হয়ে দিশেহারা এবং দেশছাড়া হচ্ছে এবং হবে। কুলিল্লাহুমুল মুলক, তুতিল মুলক (সৃষ্টিকর্তা সকালে বাদশা ও বিকেলে ভিখারিতে পরিণত করে)। এই কথাটিও ভুললে চলবে না। ক্ষমতা দিয়ে পরিক্ষা করে এবং সেই পরিক্ষার পরেই ক্ষমতার স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। ক্ষমতা ও সুযোগ দেয়ার প্রধান ও প্রথমতম কারণ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে দেখাশুনা ও পরিচর্যা করা; আর নিয়ন্ত্রণে রাখা। শাষনের অধিনে সামনে এগিয়ে নেওয়া। সেই শাসন হবে ক্ষমা ও ভালবাসায় পরিপূর্ণ এবং ভন্ডামীশুন্য শান্তিপূর্ণ।
রাজা আসবে রাজা যাবে, মানুষ আসবে এবং মানুষও যাবে কিন্তু পৃথিবীতে টিকে থাকবে তার ভাল ও মন্দ কৃতকর্ম। স্বল্পদিনের জীবনের এই কৃতকর্মই আগামীর দিশা হিসেবে কাজ করবে। এখান থেকেই শিক্ষা নিতে হবে কোনটি উচিত আর কোনটি অনুচিত। কোনটি করার ফলে এই বিপর্যয় আর কোনটি করার ফলে এই সফলতা গাথা বিজয়। তাই আসুন আমরা সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে যাই এবং তাঁর দেখানো ও শিখানো পথে অগ্রসর হই এবং তাঁরই সহযোগীতা এবং পরিচর্যায় কল্যাণকামী মনোভাব বাস্তবায়নে অগ্রসর হই।
শান্তির জন্য প্রয়োজন ধৈয্য, ক্ষমা ও ভালবাসা এবং কেওয়াজ ও জঞ্জালমুক্ত কর্মকান্ড। কিন্তু বর্তমানে চারিদিকে কি হচ্ছে, কি দেখছি আর শুনছি? যা কিছু প্রত্যক্ষ তা দিয়ে শান্তি পুনস্থাপিত হবে না। শাসনের অধিনে আসবে না, নিয়ন্ত্রনে থাকবে না, পরিচর্যা, পরিচালনা ও দেখাশুনা করা যাবে না। তাই সাবধান নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করুন। যে সুযোগ পেয়েছেন প্রত্যেকেই সেই সুযোগ কাজে লাগান। তবে নিজের বুদ্ধি ও জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল হয়ে নয় বরং সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান ও বুদ্ধির এবং পরিচালনার উপর নির্ভরশীল হয়ে।
এই নৈরাজ্যময় সময়ে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই দরকার সৃষ্টিকর্তাকে। রাজনীতি, ধর্মনীতি, কর্মনীতি এবং পরিবারনীতি আর সরকার নীতি সকল ক্ষেত্রে নিজস্ব চিন্তা চেতনার উত্তাল ঝর বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দরকার সৃষ্টিকর্তার দেয়া নিয়ামতে পরিচালিত সকল ব্যবস্থা এবং জ্ঞান। তাই নিজের উপর আর ভরসা নয় বরং সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করুন। নিজের শক্তির উপর না দাঁড়িয়ে সৃষ্টিকর্তার শক্তির উপর দাঁড়াতে চেষ্টা করুন। নিজের এবং দল ও গোষ্ঠীগত ইচ্ছায় পরিচালিত না হয়ে বরং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় পরিচালিত হউন। তাহলেই প্রকৃত শান্তি আর স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা আর নিরাপত্তা এবং দুনিয়াকে শাষনের দায়িত্ব শতভাগ সফলতায় পালন করতে পারবেন। পরিচর্যা করতে পারবেন সম্মানের, সত্যের, ভাল এবং সুন্দর ও গ্রহযোগ্যতার।
আর পরিশ্রান্ত না হয়ে বরং সৃষ্টিকর্তার আহবানে সাড়া দিন, যেমন তোমরা যারা পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত; বোঝা বয়ে বেড়াতে পারছো না তারা আমার কাছে এসো আমি তোমাদের বিশ্রাম দেবো। আমার স্বভাব নম্র, আমার জোয়াল হালকা যা বয়ে নেয়া যায়। হ্যা এখনই সময় সৃষ্টিকর্তার কাছে ফিরে গিয়ে তাঁর পরিকল্পনানুযায়ী অগ্রসর হওয়ার। আমরা এও জানি যে, তিনি বলেছেন, তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমিই জানি, তা তোমার মঙ্গলের জন্য, অপকারের জন্য নয়, বরং সেই পরিকল্পনার মাধ্যমেই তোমাদের ভবিষ্যতের আশা পূর্ণ হবে। আমরা আমাদের সকলের ভবিষ্যতের আশা পুরনার্থে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে গিয়ে তাঁর পরিকল্পনানুযায়ী অগ্রসর হই এবং আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করি। উচিত ও অনুচিতের দন্ধ নিরসন করি এবং সৃষ্টিকর্তার মানদন্ডে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখি। সত্যের মানদন্ড সবসময় প্রজ্জ্বলিত রাখি। আশা-আকাঙ্খা পুরণে সত্যের মানদন্ডকে সদা জাগ্রত রাখি। এই প্রত্যাশাই আপনার আমার সকলের জন্য। মহান খোদা তায়ালা আমাদেরকে কবুল করুন। আমিন\
সকলের জন্য। মহান খোদা তায়ালা আমাদেরকে কবুল করুন। আমিন\

Leave a Reply

Your email address will not be published.