আ.লীগের গোপন বৈঠক: আরও ২ আসামি কারাগারে

প্রশান্তি ডেক্স ॥ রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গোপন বৈঠকের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তদন্তে পাওয়া ২ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

গত শুক্রবার (১ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. এহসানুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, শফিকুল ইসলাম সজিব ও প্রীতম কুমার দে।

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল ৩১ জুলাই বিকালে রাজবাড়ী জেলার নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় গত ১৩ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানার উপপরিদর্শক জ্যোতির্ময় মন্ডল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে। পরের দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামান মোল্লার স্ত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা ও বরগুনার সোহেল রানার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে আরও বেশ কয়েকজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২৯ জুলাই ৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, চুয়াডাঙ্গার আজিজুল মিজি (২৬), ফরিদপুরের আনজুমান আরা বেগম (৫৭), ঢাকার সাভারের সুলতান মাহমুদ ওরফে তছলিম মাহমুদ (৪৭), পটুয়াখালীর মো. নাঈম হাওলাদার (২২), ভোলা জেলার মো. হেলাল উদ্দিন (৫০), নরসিংদীর মো. ইমরান হোসেন (৩৫), শরিয়ত পুরের মুক্তা আক্তার (৪৩), রাজশাহীর নবিউল প্রকাশ নবু (৩০)।

৩০ জুলাই চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তারা হলেন মানিকগঞ্জ জেলার রাজীব মিয়া (৩৫), নওগাঁর ওমর ফারুক সৈকত (২০), রাজধানীর বংশালের হাজী নাসির আহমেদ (৬১), নোয়াখালী মো. এনাম হোসেন সুজন (৩০)। এছাড়া গতকাল ৩১ জুলাই নেত্রকোনার জাহিদ হোসেন, সিলেটের আনর মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তারা সেখানে সরকারবিরোধী স্মোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তারা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.