কমলো হার্টের রিংয়ের দাম

প্রশান্তি ডেক্স ॥দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্টেন্ট বা রিংয়ের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত সোমবার (৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়। মন্ত্রণালয়য়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিন কোম্পানির ১১ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়ে নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠান ভেদে খুচরা মূল্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতে স্টেন্টভেদে দাম কমানো হয়েছে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটির সুপারিশ, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের যুক্তিসংগত মুনাফা এবং ভ্যাট-শুল্ক ইত্যাদি বিবেচনায় তিনটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি অ্যাবট, বোস্টন সায়েন্টিফিক এবং মেডট্রনিকের আমদানি করা স্টেন্টগুলোর দাম পুনর্নিরধারণ করা হয়েছে।

নতুন তালিকা অনুযায়ী, মেডট্রনিক কোম্পানির ‘রিজলিউট অনিক্স’ স্টেন্টের আগের দাম ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা, যা কমিয়ে ৯০ হাজার টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বোস্টন সায়েন্টিফিক কোম্পানির ‘প্রোমাস এলিট’ স্টেন্টটি আগে ৭৯ হাজার টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ হাজার টাকা।

একই কোম্পানির ‘প্রোমাস প্রিমিয়ার’ স্টেন্টের দাম ৭৩ হাজার থেকে কমিয়ে ৭০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

সিনার্জি সিরিজের তিনটি স্টেন্টের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে ‘সিনার্জি এক্সডি’ স্টেন্টে, যার আগের দাম ছিল ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। নতুন দামে এটি এখন বিক্রি হবে ১ লাখ টাকায়।

অন্যদিকে ‘সিনার্জি’ ও ‘সিনার্জি শিল্ড’ স্টেন্ট দুটির দাম কমিয়ে যথাক্রমে ৯০ হাজার টাকা করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

অ্যাবট কোম্পানির ‘জায়েন্স প্রাইম’ স্টেন্টের দাম ছিল ৬৬ হাজার ৬০০ টাকা, যা কমিয়ে ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘জায়েন্স এক্সপেডিশন’ স্টেন্টের দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি, এটি আগের মতোই ৭১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হবে।

তবে ‘জায়েন্স আলপাইন’ এবং ‘জায়েন্স সিয়েরা’ স্টেন্ট দুটির দাম ছিল যথাক্রমে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ এবং ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা কমিয়ে ৯০ হাজার টাকায় আনা হয়েছে।

এ ছাড়া মেডট্রনিক কোম্পানির আরেকটি স্টেন্ট ‘অনিক্স ট্রুকর’ আগে বিক্রি হতো ৭২ হাজার ৫০০ টাকায়। এখন সেটি পাওয়া যাবে ৫০ হাজার টাকায়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, অনুমোদিত দাম সংক্রান্ত তালিকা হাসপাতালে দৃশ্যমান স্থানে টানিয়ে রাখা এবং তা ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা নিতে হবে। স্টেন্টের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫ শতাংশের বেশি আদায় না করতে এবং নির্ধারিত দামের বাইরে কোনও কার্ডিওভাসকুলার বা নিউরো ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস কিনতে না দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.