ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥ ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ভুল্লী বাজারে ওষুধ কিনতে বাহিরে আসলে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতশুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেপুলিশ। এর আগে, গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকার কুমারপুর কলেজপাড়ার ইসরাত জাহান নাসরিনের বাড়িতে এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

আসামিরা হলেন- ভল্লী কুমারপুর এলাকার ক্ষেণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত জামাল উদ্দীনের ছেলে হামিদুর রহমান, একই গ্রামের মৃত রজব প্রাচে উদ্দীনের ছেলে জাহেরুল ইসলাম এবং ভুল্লী কলেজপাড়া এলাকার মো. নাসির উদ্দীনের মেয়ে ইসরাত জাহান নাসরিন। এদের মধ্যে রাতেই হামিদুর রহমান ও ইসরাত জাহান নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্থ হওয়ায় প্রতিবেশী হামিদুর রহমান ও জাহেরুল ইসলাম প্রায়ই তাকে রাস্তায় কুপ্রস্তাব দিত। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই গৃহবধূ ওষুধ কেনার জন্য ভুল্লী বাজারে গেলে আসামিরা তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। গৃহবধূ যেতে না চাইলে তারা জোর করে একটি অটোরিকশায় তুলে তাকে খোশবাজারে নিয়ে যায়। এরপর একটি দোকানে পাউরুটি ও চা খাওয়ায়। তারপর আসামিরা গৃহবধূকে মোটরসাইকেলে করে বালিয়া ইউনিয়নের জ্বীনের মসজিদে নিয়ে যায়। পরে জাহেরুল ইসলাম ভিকটিমকে একটি অটোভ্যানে করে কুমারপুর কলেজপাড়ার ইসরাত জাহান নাসরিনের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ইসরাত জাহান নাসরিনের সহায়তায় তার বাড়িতেই হামিদুর ও জাহেরুল জোরপূর্বকভাবে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানান। এ ঘটনার সময় ভিকটিমের স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এ সুযোগে আসামিরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য চাপ দেয়। ভিকটিম তাদের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে স্বামীসহ থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে রাতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বামী অভিযোগ করে বলেন, আমি কাজের জন্য কুমিল্লায় থাকায় এই সুযোগে হামিদুর ও জাহেরুল আমার স্ত্রীর সাথে জঘন্যতম কাজ করে। আমার স্ত্রী একটু মানসিক সমস্যাগ্রস্ত। এরকম জঘন্য কাজ করার পরেও কিছু লোক আপসের জন্য প্রস্তাব দেয়। আমি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এ প্রসঙ্গে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।