প্রশান্তি ডেক্স ॥ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সামগ্রিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সেপা) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে দুই দেশ। আগামী ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট সিউলে এ আলোচনা হবে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে ঢাকা ও সিউলের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অনেক দেশের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা সেপা আলোচনা করছি। সর্বশেষ আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এই আলোচনা শুরু করেছি।’
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ যে বাণিজ্য সুবিধা হারাবে, সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য এ ধরনের চুক্তির প্রয়োজন হবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার প্রতিযোগী সক্ষমতা বজায় রাখতে পারবে বলে তিনি জানান।
এদিকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন হবে আগামী ২৬ আগস্ট। সেখানে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, অভিবাসন, উন্নয়ন সহযোগিতা, খাতভিত্তিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
সূত্র জানায়, অভিবাসনের ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ রয়েছে, কিন্তু সক্ষমতার অভাবে বাংলাদেশ এ সুযোগ পুরোপুরি নিতে পারছে না। প্রতি বছর বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার কোটা হচ্ছে সাড়ে ১১ হাজার। কিন্তু আমরা সবচেয়ে বেশি শ্রমিক পাঠাতে পেরেছি ২০২২ সালে এবং সংখ্যাটি হচ্ছে ৬ হাজার।
তিনি বলেন, ‘আমরা অধিক সংখ্যক প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কোরিয়াকে অনুরোধ করবো।