প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সার্জিও গরকে ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন। তবে এই নিয়োগকে কেউ ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও অনেকে বলছেন, এটি ভারতের জন্য ‘অপমানজনক বার্তা’।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি গরকে তিনি নয়াদিল্লিতে পাঠাচ্ছেন। একই সঙ্গে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক দেখবেন গর। গরকে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ ও ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
৩৮ বছর বয়সী গর ট্রাম্প পরিবারের ঘনিষ্ঠ। তার প্রকাশনা সংস্থা উইনিং টিম পাবলিশিং থেকে ট্রাম্পের লেখা বই প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনি তহবিলে তিনি কোটি ডলার তুলেছেন। তবে কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকায় এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তান-ভারত সম্পর্ককে একই কাঠামোয় বেঁধে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের অ্যালিসা আইয়ার্স বলেন, ভারত কখনোই পাকিস্তানের সঙ্গে একই স্তরে বিবেচিত হতে চায় না। এই নিয়োগ অন্তত ভারতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
আমেরিকান ফরেন পলিসি কাউন্সিলের লরেন্স হাসের মতে, ট্রাম্প হয়তো বোঝাতে চাইছেন যে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পূর্ণকালীন প্রয়োজনীয় নয়। তিনি বলেন, এতে ভারত মনে করবে ট্রাম্প এই সম্পর্ককে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
২০০৯ সালে ওবামা প্রশাসন রিচার্ড হোলব্রুককে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিশেষ দূত করতে চাইলে দিল্লি আপত্তি জানিয়েছিল। এবারও একই ধরনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ একজনকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো ভারতের জন্য সুফলও আনতে পারে। হাডসন ইনস্টিটিউটের বিল ড্রেক্সেল বলেন, ট্রাম্প নিজেই নীতি নির্ধারণে মুখ্য। তার কাছের মানুষ ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সহায়ক হতে পারেন।
গর ১৯৮৬ সালে তিনি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের উজবেকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন। পরে মাল্টায় বেড়ে ওঠেন এবং ১২ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে যান। একসময় রিপাবলিকান পাটির্র জুনিয়র কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে ট্রাম্পের প্রচারণা ও দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসেন।
সূত্র: বিবিসি