কি দেখলাম আর কি শিখলাম তা ইতি ও নেতিবাচক উভয় পর্যায়েই হতে পারে। আমাদের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত, পারিবারিক শিক্ষায়, সামাজিক শিক্ষায় এবং ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি রাষ্ট্রিয় শিক্ষার আর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার ভুমিকা। এই সব শিক্ষার ইতি এবং নেতি উভয়ই আমাদের মস্তির্ষ্কে উর্বর অবস্থান বিরাজ করছে। আমরা এই শিক্ষার আলোকেই পথ চলি এবং পথকে চালাই। তাই শিক্ষাগুলোকে বাছাই করার সময় একটি খোদায়ী মানদন্ড দরকার। কিন্তু সেই মানদন্ডকে আমরা আজো ব্যবহারের মাধ্যমে অর্জন করতে পারিনি। তাই আমাদের এই বর্তমান দৃশ্যমান অবস্থা।
এই বর্তমানে ইতিবাচকতার চেয়ে নেতিবাচকতাই বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে। আমারা নেতিবাচকতাকেই সাধুবাধ জানাচ্ছি এবং সামনে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। নেতিবাচকতায় ঐক্য হয় দ্রুত এবং ঐ ঐক্যবদ্ধতা দ্বারা সকল ইতিবাচকতাকে ভেঙ্গে চুড়মাড় করা যায়। পিষে ফেলা যায় সকল ইতিবাচক ও মঙ্গলের অগ্রযাত্রাকে। এই সময়ে এসে এই উপলব্দিটুকু পেলাম অতিত এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের কান্ডারীদের কৃতকর্ম এবং আগামীর পথচলার ধরন দেখে। এই কি আত্মমানবতার কল্যাণ? এই কি আর্তমানবতার মুক্তির দিকদর্শন বা নিদর্শন। যদি তাই হয় তাহলে এর থেকে মুক্তি চাই। এই আত্মমানবতার অন্তত আমার কোন প্রয়োজন নেই। এই মুক্তির স্বাদ গ্রহন করার কোন কারণ অবশিষ্ট আর নেই। তাহলে মুক্তি কোথায়? কিভাবে মিলবে এই মুক্তি?
বাংলাদেশের জন্ম থেকে যা দেখলাম ও শুনলাম এবং বিবেকের তাড়নায় নিজেরা উপলব্দি করলাম তার থেকে কি কি শিক্ষা নেয়া যায় এবং কিভাবে এর উত্তরণে কাজ করা যায় এই বিষয়গুলো এখন ভাবনায় আনয়ন করা জরুরী। কারণ প্রত্যেকেরই একটি স্বচ্ছ বিভেক এবং সচেতন মনন রয়েছে। যার আঙ্গিকেই সেই সকল দেখা শুনা ও শিক্ষা থেকে আগামীর করণীয় ঠিক করার একটি তাদিগ অনুভুত বা অনুভব হয়েছে। আজ এই জাতির এবং পৃথিবীর ক্রান্তিলগ্নে এসে এই বিষয়গুলো আমাকে ভাবায়। তাই এই বিষয়ের আলোকেই লিখা এবং জাতির বিভেকের সামনে উপস্থাপন করা। এই আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সিমাবদ্ধতা অনুযায়ী প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।
রাজনৈতিক দলগুলো এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিত সকলেই আজ আমাদেরকে হতাশ করেছে এবং দিনকে দিন নিমজ্জ্বিত করেছে এক গভীর অন্ধকারের অতল গহব্বরে। তাই এর থেকে উত্তরের পথ কি? আর সেই পথেই অগ্রসর হওয়ার উপায় কি? তা এখনই ঠিক করে অগ্রসর হতে হবে। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রত্যেকেই দল ও মতের উদ্ধে উঠে ঐক্যমত্য এবং ঐক্যবদ্ধভাবে অগ্রসর হওয়ার একটি কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করে বাস্তবায়নের মনোযোগী হই। নতুবা বর্তমানের চেয়ে আরো কঠিন ও কঠোর সময়ের মুখোমুখি হতে আমাদের উৎসাহিত করছে আগামীর পথচলায়।
অতিত থেকে বর্তমান পর্যন্ত কেউই আজ উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তাই উত্তীর্ণের প্রয়োজনে নতুনের কেতন উড়ানোর দুতের প্রয়োজন। সেই দুত এবং দুতেরা এখন কোথায়? নেমে আসুন এই ধরালয়ে এবং দায়িত্ব নিন আগামীর। এই পর্যন্ত যাদেরকে দেখেছি তাদের উপর জাতির ভরসা ও নির্ভরতার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। আজ আবার জাতি নতুনের খুজে অনুসন্ধান শুরু করেছে এবং সেই অনুসন্ধানি কার্যক্রমে অগ্রসর হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে যাওয়া ও পথ চলা কঠিন ও রূঢ় কিন্তু এর বাস্তবতা হলো যে, এর জনমুখী বিস্ফোরণ ভয়াভহ। যা এখনও জাতি বা রাষ্ট্র প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করতে বা আন্দাজ করতে সক্ষম হননি। ধারনারও অতীত এবং অকল্পনিয় আগ্নেয়গীরীর অগ্নি স্ফুলিঙ্গ ধেয়ে আসছে.. .. .. সাবধান হউন।
পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনার সকল অঙ্গে এখন ওইপুকা কাটছে এবং ঘুণেধরা সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা ক্ষণে ক্ষণে ধ্বসে পড়ছে। তাই এর থেকে পরিত্রানের ত্রাতা হিসেবে মহান খোদা আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা একজনকে মনোনিত করবেন এবং সেই আলোকেই সকল কিছু সাজাবেন আর সেই সাজানোতেই বর্তমান থেকে উত্তরণের দিগন্ত উন্মোচিত হবে। মানুষ ফিরে পাবে হুশ জ্ঞান এবং স্বস্তি। আমি এই সময় বলচে তাই আসুন আমরা আমাদের আমিত্ব থেকে বের হয়ে আসি এবং আমাদের সকল মন প্রাণ দিয়ে আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে ভালবাসি ও মহব্বত করি। তারপরে আমাদের প্রতিবেশীকে আমাদের ন্যায় মহব্বত করি। আর সৃষ্টিকর্তার কাছে মাথানত করে কৃতকর্মের জন্য করজোরে ক্ষমা প্রার্থনা করি। যেন তিনি আমাদের সকলকিছু মার্জনা করেদেন এবং তাঁর খাস বান্দা হিসেবে কবুল করে নেন।
সৃষ্টিকর্তার খাস বান্দা হিসেবে আভির্ভুত হলেই মিলবে মুক্তি, শান্তি, আনন্দ ও নিশ্চয়তা আর নিরাপত্তা এবং সফল ইতিবাচকতার জয়জয়াকার রূপ। এখনো আমাদের হাতে অফুরন্ত সময় আছে তাই আসুন সময়টুকু কে কাজে লাগাই। পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার প্রাপ্ত দায়িত্বকে পরিপূর্ণতা দান করি। পৃথিবীর সকলকিছুকে দেখাশুনার দায়িত্বকে সুসম্পূর্ণ করি। খোদার দেয়া জ্ঞান ও শিক্ষা এবং সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহারের পূর্ণতা আনয়ন করি। বিশ্বের ন্যায় আমাদের প্রীয় মার্তৃভুমিকেও সুরক্ষায় পরিপূর্ণতা দান করি। ক্ষমা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়ে সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে এই মনোভাবের শতভাগ ব্যবহার দৃশ্যমান রাখি। বেহেস্তের সুখ শান্তি পৃথিবীতেই উপভোগ করে বেহেস্তে গমন করি। এই প্রত্যাশায় সকলের জন্য আমার মোনাজাত বা প্রর্থনা অব্যাহত রাখি।