দেশে এখন অশনী সংকেতের মহড়া চলছে। কোনদিকে নেই এই অশনী সংকেত বলতে পারেন কি? আমার জানামতে এবং দেখা ও শুনা এবং বুঝা আর উপলব্দিতে এই অশনী সংকেত কিন্তু সকলের জন্যই। আপামর জনতার এই অশনী সংকেত সর্ববই বিরাজমান রয়েছে। তবে এর উত্তরণে এবং অগ্রযাত্রার বিস্ফোরণে ৪ আগষ্টের চেয়েও বড় কিছু ঘটতে পারে। দেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হতে গিয়ে খাদের কিনারায় ঠেকবে কিন্তু এর থেকে রেহাই পাওয়ার আর কোন উপায় অবশিষ্ট থাকবে বলে অবস্থাদৃষ্টে আপাতত মনে হচ্ছে না। তাই সকলকে আহবান জানাই এই অশনী সংকেত মোকাবিলায় প্রস্তুত হউন।
বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা অশনী সংকেতের মহড়ায় ব্যস্ত এবং ঐ মহড়ার কিছু কিছু অংশ এখন বাংলাদেশেও শুরু হওয়ার পথে। রাষ্ট্র, সমাজ, দেশ এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য এই মহড়াকে দিনকে দিন আরো বহুমাত্রিক ক্ষমতায় বাড়িয়ে তুলছে। আকাশচুম্বি আকাঙ্খা নিয়ে গঠিত অর্ন্তবর্তী সরকার এই আকাঙ্খার বহি:প্রকাশ ঘটাতে পারেনি। মানুষের চাহিদা এবং প্রত্যাশা এই দুয়ের যোগান দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। জাতিকে বিভক্তিতে বিভক্ত করে ফেলেছে। রাজনীতির শিষ্টাচার এবং ভাষা হারিয়ে রাজনীতি আজ দিশেহারা এমনকি রাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করে অশনী সংকেতের মহড়ার দিকে এগুচ্ছে।
বর্তমান চলমান কালচার নতুন করে জাতিকে বিভক্তি এবং হিংস্র হতে সহায়তা করে অশনী সংকেতের পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে আর এই বাঙ্গালী একত্রিত হতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। পূর্বেও ঐক্যবদ্ধতা ছিল না কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানটুকু ছিল কিন্তু আজ সেই শ্রদ্ধা ও সম্মানটুকু বিলুপ্ত হয়েছে। দ্বন্ধ, হিংসা এবং ঘৃণায় পর্যবসীত হয়েছে জীবন মান। যা আর ফিরিয়ে আনার কোন সুযোগ অবশিষ্ট থাকল না বলে মনে হচ্ছে।
বিদেশে দেশ ও সরকার এবং রাজনৈতিক দল এমনকি ব্যক্তি বিরোধী মিছিল, সমাবেশ এবং নেতিবাচকতা ছিল কিন্তু সেই নেতিবাচকতার চর্চার শেষ রূঢ় বাস্তব পরিণতি এখন শারীরিক এবং মানষিক ও মিডিয়া আক্রমণে জর্জরিত হচ্ছে। বাংলার বহুদিনের গর্বীত সংস্কৃতি এবং ঐক্যবদ্ধ কালচার আজ বিলুপ্তির চোরাবালিতে বিলিন হচ্ছে। রাজনৈতিক শিষ্ট্রচার বিবর্জিত সকল কর্মকান্ড দেশে ও বিদেশে একযোগে পরিচালিত হচ্ছে যা ঐ অশনী সংকেতকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার প্রধান এবং এর সঙ্গে উপস্থিত সকলেই দেশের মান ও সম্মান বহনে অক্ষমতার পরিচায়ক হিসেবে জাতির সামনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকার প্রধান নিজেকে রক্ষায় ব্যস্ত হয়েছে তাই তার দেশ ও জাতি এবং সর্বোপরি তার সফরসঙ্গিদের রক্ষায় অপারগতা এমনকি অক্ষমতা প্রকাশ দৃশ্যমান রেখেছেন। এই লজ্জ্বা… এই প্রথম জাতির সামনে প্রদর্শিত হলো।
যিনি দেশে ও দেশের বাইরে নিজের লোকদের নিরাপত্তা দিতে অক্ষম তিনি কিভাবে আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে এমনকি গ্রহণযোগ্য করে সুসম্পন্ন করবেন। এই বিষয়টি বোধগম্য নয়। তবে যদি নির্বাচনী মাঠে ভুল করেও নেমে পড়েন তাহলে সেখান থেকে উত্তরণের কোন সুশৃঙ্খল শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা বর্তমান সরকারের হাতে নেই। খুন, মারামারি এবং দ্বন্ধ, হামলা ও মামলায় দেশ অবরুদ্ধ হবে। নির্বাচনে কেউ জিতবে না বরং নেতিবাচকতা এবং বিভক্তি ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড জয়যুক্ত হবে। যার মাধ্যমে এই জাতির ভাগ্যাকাশ থেকে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চিরতরে প্রস্থান গ্রহণ করবে। কিন্তু এতেও দেশ ও দশের কোন কল্যাণ সাধিত হবে বলে মনে হচ্ছে না বরং বিদেশী প্রভুর দাসত্ত বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ অস্থিতিশীল সংস্কৃতির অতল গহবরে হারিয়ে যাবে।
বলবনা আফগান অথবা ইউক্রেনের মত অবস্থায় পড়বে তবে এর চেয়েও আরো বড় কোন এক বিপদের তলানীতে গিয়ে ঠেকবে। এই জাতির ভাগ্যে বারংবারই এই বিপর্যয় উপস্থিত হয়েছিল কিন্তু উত্তরণে কেউ কেউ চেষ্টা করেছেন কিন্তু পুরোপুরি উত্তরণ ঘটাতে পারেননি। তবে এইবার সকল উত্তরণের পথ বন্ধ হচ্ছে এবং স্বাধীনতা ও নিশ্চয়তা আর নিরপত্তা এমনকি স্থিতিশীলতা বিলুপ্তির তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। আমরা অপরিপক্ক এবং অদক্ষ আর বেশী কথায় বহুধা বিভক্ত। নিজের স্বার্থের জন্য দেশের ও দশের ক্ষতি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারি। আর এই পারাই হলো আমাদের আগামীর অশনী সংকেত।
কেন সুপথে এবং ইতিবাচক ঐক্যবদ্ধতায় উত্তরণের উন্নতি ঘটেনি। তার কারণ হলো সুস্পষ্ট। আর তা হলো মহান সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় ও ইচ্ছা এই উন্নতির সোপানে যুক্ত হয়নি। সবই একজন মানুষের নিজস্ব চিন্তা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে হচ্ছে। আর সেই জন্যই বর্তমানের এই অবস্থা। তবে আমাদের উচিত মহান সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্বন্ধ সুদৃঢ় এবং গভীর থেকে গভীর করা দরকার। আর সৃষ্টিকর্তার সাহায্য এবং সহযোগীতা নিয়ে তাঁর ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের আলোকে অগ্রসর হওয়া জরুরী। যদি আমরা সেই আলোকে নিজেরা পথ চলতে পারি এবং সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে থেকে দেশ পরিচালনা ও রক্ষায় এমনকি উত্তরণের ইতিবাচক উন্নতির সোপান রচনা করতে পারি তাহলে নিশ্চিতভাবে শতভাগ সফল হবো। স্থাপিত হবে দৃষ্টান্ত এবং রচিত হবে নতুন করে খোদায়ী ইতিহাস। যা আগে কোন মানবেরা রচনা করতে পারেনি। আসুন আমরা সচেতন হই এবং প্রস্তুতি নিই সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ের আলোকে আমাদের এই প্রীয় মাতৃভূমিকে সাজাতে। সেবা এবং সুরক্ষা ও নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তার বলয়ে সমগ্র দেশকে আবদ্ধ করতে। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সহায়তা করুন\ আমিন\