প্রশান্তি ডেক্স ॥ শান্তি রক্ষার পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা জাতিসংঘে তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বিষয়ে গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রীদের বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অংশ নিয়ে তার বক্তব্যে পুনরব্যক্ত করেন।

উপদেষ্টা তার বিবৃতিতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার এবং যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহারকে প্রত্যাখ্যানের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও পুনর্গঠনের সুবিধার্থে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা মিশনে বাংলাদেশের সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং শান্তিরক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অবদান রাখতে বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম এবং কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের অবিচল সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বেশ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকেও স্বাগত জানান তিনি।
এর আগে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জাতিসংঘ সদর দফতরে আফগানিস্তান বিষয়ক ওআইসি মিনিস্ট্রিয়াল কন্টাক্ট গ্রুপে যোগ দেন।
সেখানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার বক্তব্যে আফগানিস্তানের জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও মানব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত সম্পৃক্ততার আহ্বান জানান। তিনি আফগান নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগে অবদান রাখতে বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এছাড়া মো. তৌহিদ হোসেন নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী প্যাসকেল গ্রোটেনহুইসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। আলোচনায় গণতান্ত্রিক সংস্কার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ, অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জল ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারত্বকে শক্তিশালী করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।