আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইনস্টিটিউট হচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

প্রশান্তি ডেক্স ॥ শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের ঘোষিত উনয়নের ১৬ দফা রূপকল্পের ১৩তম দফা—‘পাবনা মানসিক হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটে রূপদান ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা’ বাস্তব রূপ পেয়েছে।

জাতীয অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকার এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।

শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন মনে করে, এই অনুমোদনের মাধ্যমে পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বার উন্মোচিত হলো। পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রে রূপান্তর করলে শুধু পাবনাই নয়, সমগ্র দেশের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হবে।

শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে, যিনি সর্বপ্রথম পাবনা মানসিক হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

ফাউন্ডেশন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিও আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়।

এছাড়া শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের এই দাবিকে সমর্থন ও একাত্মতা প্রকাশকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক এবং সাধারণ মানুষদের প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে সংগঠনটি।

ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পাবনাবাসীর এই ঐতিহাসিক অর্জন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। এটি শুধু একটি হাসপাতাল নয়, একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে দেশের মানসিক স্বাস্থ্য খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সরকার দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে এবং পাবনা মানসিক হাসপাতালকে বিশ্বমানের ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের কাজ শুরু করবে।’

তাদের ঘোষিত অগ্রাধিকারমূলক চারটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য বিবৃতিতে ফাউন্ডেশন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো ঢাকা-পাবনা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু করা; ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সচল করা; আব্দুল হামিদ রোডকে চার লেনে উন্নীত করা;  কাজিরহাট ফেরিঘাটকে খয়েরচরে স্থানান্তর করা।

সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা বলেন, ‘ঢাকা-পাবনা ট্রেন চালু নিয়ে তালবাহানা ও বিলম্ব হচ্ছে এতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পাবনাবাসীর দাবি বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’

শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে, সরকারের সদিচ্ছা ও পাবনাবাসীর ঐকান্তিক সহযোগিতায় এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং পাবনা মানসিক হাসপাতাল অচিরেই আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.