প্রশান্তি ডেক্স ॥ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রণীত জুলাই সনদ সই পরবর্তী ড. ইউনূসের সরকার নির্বাচন ও গণভোটের সময় বির্তক সৃষ্টি করে জাতিকে আরও গভীর সংকট এবং হতাশায় নিমজ্জিত করেছে এবং প্রস্তাবিত ফেব্রুয়ারি ২০২৬ মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। এক বছরের অধিক সময় ধরে ৬০ শতাংশ ভোটারের সমর্থিত দলগুলোকে বাদ দিয়ে কথিত একটি ঐকমত্যের যে কাগজ তৈরি করা হয়েছে, তা প্রতারণাপূর্ণ ও চাতুরতায় ভরা বলে ঐকমত্যের দলিলে সই করা অনেক দল ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করছে।’

গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সই করা দলগুলোর অনেকেই বলছে ঐকমত্যের আলোচনায় টেবিলে যা আলোচিত হয়েছে চূড়ান্ত দলিলে তা বিধৃত করা হয়নি বরং কমিশনের কতিপয় ব্যক্তির রাজনৈতিক ক্ষমতার ধান্দাকে লিখিত রূপে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এই ঐকমত্য দলিল তথাকথিত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবের আর কোনও নৈতিক ভিত্তি নেই, যার ওপর দাড়িয়ে জাতীয় সংকট মোকাবিলা করতে পারে।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ঐকমত্য কমিশনের সব দায় এখন ড. মোহাম্মদ ইউনূসের। তিনি সেই দায় এড়াতে পশ্চিমা প্রভুদের পরামর্শে সমঝোতার ব্যর্থতার বল এখন বিভাজিত রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে পাঠিয়ে অন্য বদমতলব আটছেন। যাতে ক্ষমতা প্রলম্বিত করা যায়। ইতোমধ্যে গত দেড় বছরে ড. ইউনূস যেভাবে ব্যর্থ এবং দেশ পরিচালনায় অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন তাতে তার আর এক মুর্হূত ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।’
এতে বলা হয়, ‘দেশব্যাপী খুন, রাহাজানি, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তির ওপর ব্যাপক হামলা-মামলা, মিথ্যা গ্রেফতারি পরোয়ানা ও গ্রেফতার এদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার বীর সন্তান ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের যেভাবে কারাগারে আটকে রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো তুলে ধরেছে।’
ফ্যাসিবাদ দমনের নামে ড. ইউনূস চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দেশের অভ্যন্তরে মৌলবাদী শক্তির সহায়তায় গৃহযুদ্ধ বাধানোর পরিকল্পনায় লিপ্ত রয়েছে; ভয়ঙ্কর দমবন্ধ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার চেতনায় ‘৭২ এর সংবিধান বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দুঃশাসন মোকাবিলা করতে আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। এতে সই করেন দলটির কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগ আহ্বায়ক মোস্তফা আলমগীর রতন।