নির্বাচনী হাওয়ায় নেতারা এখন দিশেহারা

আমাদের দেশে এখন কথায় কথায় নির্বাচনী হাওয়া বইছে আর এই হাওয়ায় দিশেহারা হয়ে গিয়েছেন নেতারা। তাদের দিশা এখন বেদিশায় পরিণত হয়েছে। কথার লাগাম টানতে গিয়ে কেউ কেউ আবার হেই হারিয়ে ফেলেছেন। কেউ কেউ আবার পুরোনো ফ্যাসিষ্ট তকমাখ্যাত কথাবার্তাও বলে বেড়াচ্ছেন। এই টালমাটাল অবস্থায় আম জনতার কি অবস্থা তা বুঝা যাচ্ছে আম জনতার দল খ্যাত তারেকের দশা দেখে। মজা করছি না ভাই বিশ্বাস করুন এই দশায় আমি ও আপনি এখন আছি। সকলেই নেতাদের ব্যবহৃত উচ্ছিষ্ট তেনায় পরিণত হয়েছি। বার বার এই একই দশা এবং দৃশ্য দেখে জিবনের ৫৩টি অধ্যায় পার করেছি। তবে ভাল কিছু দেখার ও পাওয়ার এবং হওয়ার আশায় নিরাশ হয়নি বলেই বেঁচে আছি। কিন্তু এই বেঁচে থাকাতেও আবার শিল পাটার ঘষাঘষিতে মরিচের দশায় উপনিত হচ্ছি।

আসছে নির্বাচন নিয়ে বহু কথা বলা য়ায় এবং হয় কিন্তু আসল কথা বা বাস্তবতা কি তা আমরা কেউই বলতে পারিা না বরং আন্দাজ করে কিছু বলে থাকি। তবে কিছু কিছু কথা মিলে যায় আর কিছু কিছু কথা মিলে না। তাই প্রকৃত বিষয় এবং কথা একমাত্র ত্রাতারাই জানেন। তবে মহান সৃষ্টিকর্তা সবই জানেন ও বুঝেন এবং দেখেন আর আগামীর করণীয় ঠিক করেন। কেউ কেউ আবার ঠাডা পড়ে হাস মরে তারপর ফকিরালি জাহির হয় এই ভুমিকায়ও রয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো দেশ ও জনগণ আজ এক কঠিন সমিকরণের মুখোমুখি।

বর্তমান সরকার এই এক বছরেরও বেশী সময় ধরে দেশকে কিছুই দিতে পারেনি এবং জাতিকে আশা দেখিয়েও এগিয়ে নিতে পারেনি। বরং আশা জাগিয়ে স্বপ্নকে হাতের নাগালে পেয়েও স্পর্শ করা থেকে বিরত রাখার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। জাতি তাদের ত্যাগ ও বিসর্জন দিয়ে এই স্বপ্ন ও আশা আকাঙ্খাকে জীবীত করে বর্তমান সরকারের হাতে তুলে দিয়েছিল। সেই স্বপ্ন ও আশা- আকাঙ্খাকে গলাটিপে মেরে এখন দাফনে ব্যস্ত এই সরকার। কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী হিসেবে স্বীকৃতি লাভের কোন চেষ্টায় করেনি। শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এমনকি নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা বিধানে শৃঙ্খলাবদ্ধ কার্যক্রম পরিচালায় সম্পূর্ণ অনুত্তীর্ণ হয়ে অতীতের পরাজিত ফ্যাসিষ্ট খ্যাতি পাওয়া সরকারের চেয়েও খারাপ অবস্থানের দিকে এগুচ্ছে এই জনপ্রীয় প্রাজ্ঞ সরকার।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই দেশ এখন জনগণের কাছেই নিরাপদ। কারণ এই দেশের জনগণ দেখিয়েছে ৫ আগষ্টের পর। যখন কোন সরকার ছিল না তখন এই দেশের জনগণ দেশকে পাহাড়া দিয়েছিল, প্রশাসনকে সহযোগীতা করেছিল। একটি দেশকে সচল রাখতে যা যা করেছিল তা আজ অনুপস্থিত। সেই আলোকে বলা যায় সরকার বিহীন দেশ ভালো ছিল আর বর্তমান সরকার এসে খারাপে পরিণত করেছে। তবে এও বলা যায় আগের ফ্যাসিষ্ট আমলে বর্তমানের চেয়ে হাজারো গুন ভালো ছিল দেশ ও দেশের মানুষ। তাই বিচার বিশ্লেষন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বর্জন সবই এখন জনগণের হাতে। তারা কি আগামীতে সরকারবীহিন থাকবে? নাকি বর্তমানে বিশ্বাস ও আস্থা রাখবে? অবথা কোন এক ফ্যাসিষ্টকে সরকারে বসাবে?

সন্ত্রাস, চাদাবাজি, লুটপাট, জবর দখল, ধর্ষণ, খুন এবং মামলা হামলায় এই সরকার কি বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের চেয়ে কিছু ভাল করেছে? আর আগামীতে ভাল কিছু করার কোন সরকার আসার সুযোগ এবং লক্ষণ কি জাতি দেখতে পেয়েছে? বরং যে দিন যায় তা ভালই যায় বলে খ্যাত প্রবাদ কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিয়েছে মাত্র। যদি আগের দিনই ভাল ছিল যেখানে সন্ত্রাস, খুন, চাদাবাজি, ছিনতাই, লুটপাট, জবরদখল, ধর্ষণ, মামলা ও হামলার পরিণতি বর্তমানের চেয়ে সংখ্যায় অনেক কম ছিল, তবে বর্তমানের মত প্রকাশ্যে ছিল না বলেই নিশ্চিত করা যায়। তাই আমরা কোথায় আছি এবং যাচ্ছি? ভাল থাকার আশায় সরকার পতন করেছি এবং নতুন সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি কিন্তু কি ভাল আছি আর তারা কি আমাদেরকে ভাল রাখছে?

নির্বাচন নির্বাচন করতে করতে এবং আশা দেখাতে দেখাতে মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা ছাড়া আর কিছু কি হয়েছে বা হবে? রাজনৈতিক ভিন্নতা দিয়ে আরো একটি গুবলেট বোমা বিস্ফোরণের অপেক্ষায় রয়েছে। যে কোন সময় ঐ বোমা বিস্ফোরিত হতে পারে। তবে শব্দবোমা প্রতিনিয়তই বিস্ফোরিত হচ্ছে। যে পারে সেও বলে আর যে পারেনা সেও বলে দশায় এখন জাতি। এই দেশটি বড়ই অভাগা। সৃষ্টির বা জন্মের পূর্বে ও পর থেকেই শান্তি ও স্থিতিশীলতায় এই দেশ পর্যবসীত হতে পারেনি। সকলের ঐক্যবদ্ধ অগ্রযাত্রায় এগুতে পারেনি। বিভক্তি আর বিভক্তিতে বিবর্জিত এবং বিপর্যস্ত হয়ে বার বার মুখ থুবরে পরেছে মাত্র। এই কাহিনীর শেষ কবে এবং কোথায় এর পরিসমাপ্তি কেউ জানেন কি? তবে সৃষ্টিকর্তা সবই জানেন। তাই তাঁর কাছ থেকে জানতে চেষ্টা করুন।

দেশী ও বিদেশী চক্রান্তে এখন দেশ দোলছে। আর আমাদের রাজনৈতিক নেতারা এমনকি দলগুলো ঐ দোলানোতে সুযোগ খুজছে নিজের বা নিজেদের আখের গোছাতে। কেউ ক্ষমতায় যেতে আর কেউ কেউ ক্ষমতার কাছে থাকতে। কিন্তু কেউ দেশকে এবং দেশের মানুষকে ঐ দোলানো থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসছে না। দুর্ভাগ্য এখন দেশের মানুষের তবে এই মানুষগুলো আভাগা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে বিভক্তিতে বিভক্ত হয়ে ছুটা ছুটি করে জীবন বিসর্জন দিচ্ছে। এতেও ঐ লোভাতুর নেতা বা নের্তৃস্থানীয় মানুষগুলো লাভাবান হচ্ছে এবং নতুন করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। সবাই সচেতন হউন। চোখ কান খোলা রাখুন। নিজেদেরকে সুরক্ষায় নিজেরাই এগিয়ে আসুন। কেউ আপনাকে সুরক্ষা দিবে না। কেউ আপনার কথা ভাববে না। কারো উপর ভরসা বা বিশ্বাস করবেন না। নিজের উপর আস্তা ও বিশ্বাস রাখুন। নিজের জন্য নিজেই কিছু করতে চেষ্টা করুন। সৃষ্টিকর্তার সাহায্য নিন এবং তাঁর উপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখুন এবং তাঁরই উপর নির্ভর করুন। তাহলেই সফল এবং নিজের করার মধ্যদিয়েই অন্যের উপকার সাধন করতে পারবেন। পারবেন পথ দেখাতে? পারবের সমস্যার সমাধানে পৌছাতে। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সৃষ্টিই করেছেন নিজে করার মাধ্যমে অন্যের উপকার সাধন করতে। যেটা আশা করি সেটা আগে করিয়ে দেখাতে। সৃষ্টিকর্তা নিজে কাজ করেন এবং তিনি আমাদেরকে দিয়ে কাজ করান। তাই কাজবীহিন জীবন তিনি পছন্দ করেন না এবং ঐ জীবনকে লানত দেন। তাই আসুন কাজ করি এবং সমাজে ও পরিবারে এবং দেশে নিজের কাজের দ্বারা নিজ নিজ স্বীকৃতি অর্জনে ব্যস্ত থাকি। কারো বানানো পুতুলে পরিণত না হই। আসুন আমরা সবাই মিলে নির্বাচনী হাওয়ায় দিশেহারা জাতিকে উদ্ধারে তৎপর হই এবং নিজ নিজ কর্মে নিয়োজিত থেকে আগামীর সম্ভাবনাকে জিইয়ে রাখি। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে একত্রে কবুল করুন; আমীন\

Leave a Reply

Your email address will not be published.