সারাদেশের বিল্ডিং কোড তদারকিতে আলাদা কর্তৃপক্ষ অনুমোদন

প্রশান্তি ডেক্স ॥ ‘বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ-২০২৫’ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এদিন বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব। এছাড়া বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এটা হলো একটা ন্যাশনাল রেগুলেটরি অথরিটি; যেটা বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড যেটা আছে সেটা যথাযথ প্রতিপালনটা নিশ্চিত করবে। এটা সারা দেশে প্রযোজ্য হবে। এই যে আমরা ভূমিকম্পের একটা আশঙ্কার মধ্যে পড়েছি এই কমিটি ওই আশঙ্কাকেও মোকাবিলার জন্য কী করতে হয়, সেটা করবে এবং এই যে অথরিটিটা হয়েছে এই অথরিটি পেশাজীবী এবং সরকারি চাকরিজীবী, ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা আছে এমন স্থপতি, পরিকল্পনাবিদ, প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। এটা গোটা বাংলাদেশের জন্য সেফ এনভারনমেন্ট ফ্রেন্ডলি এবং গ্রিন বিল্ডিং কেমন করে করা যায় সেই কাজ তদারকি করবে।

তিনি জানান, এই আইনের প্যানেল অব এজেন্সি সরকার স্বীকৃতি দেবে। সব কাজ এই অথরিটি করতে পারবে না। ওই বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলো যারা লাইসেন্সধারী হবে, এই আইনের অধীনে তারা এই জিনিসটা আসলে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করবেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের হাইটেক পাকের্র আইনে বলা আছে, অনেকে হাইটেক পার্কের জন্য জায়গা নিয়ে রাখেন। কিন্তু বছরের পর বছর ফেলে রাখেন কিছু করেন না। সেখানে আইনে একটা পরিবর্তন একটা বিধান সংযোজন করা হবে, পাঁচ বছরের বেশি যদি জমি নিয়ে ফেলে রাখা হয়, তাহলে সে জমি সরকার ফেরত নিয়ে নিতে পারবে।

প্রেস সচিব জানান, হাইটেক পার্কের অধ্যাদেশে আরও কিছু নিউ ফিচার যুক্ত করতে হবে। সে জন্য এটাকে আগামী মিটিংয়ে আলোচনা করে উপস্থাপন করার জন্য বলা হয়েছে। আরেকটা বড় আইন হলো, ‘বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশ ২০২৫’। এটার নীতিগত অনুমোদন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.