বিবেচনা করে দেখেছি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পুলিশকেই করতে হয় প্রধানমন্ত্রী

বাআ॥ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পুলিশ বাহিনীকে করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত রোববার বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটের আনুষ্ঠানিক b police besi kosto koreaউদ্বোধনকালে তিনি এ কথা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আসলে কাজের কথা বিবেচনা করে, আমি দেখেছি সবচেয়ে বেশি কষ্টটা পুলিশকেই করতে হয়। তাদের কোনো কর্মঘণ্টা নেই। মানুষ যখনই চায় তাদের ছুটে যেতে হয়। কিন্তু তারপরও পুলিশের ওপরই আঘাত আসে বেশি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি দেখেছি মাত্র ২০ শতাংশ রেশন পেতো, আমি সেখান থেকে তা বাড়িয়ে দিয়েছি, ঝুঁকি ভাতা চালু করা থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি, তাদের আবাসন ব্যবস্থা করেছি। প্রতিবছরই পুলিশের জন্য বাজেট বাড়াচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আমরা জানি দেশকে উন্নত করতে হলে মানুষের শান্তিও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। আর সেটা করতে হলে পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারা মানুষের সেবা দেওয়ার কাজটি করে আসছে, সেজন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ও সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দুটি ইউনিট চালু করছি। এতে এই দুই অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা বাড়বে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আক্রমণ করা হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে, এখান থেকেই প্রতিরোধ করা হয় প্রথম। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকারও হতে হয়েছে আমাদের পুলিশকে। ৫শ’ নাগরিকের পাশাপাশি আমাদের ২৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে। জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বাংলাভাই, জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটেছিল। পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, তারা সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে জঙ্গিবাদমুক্ত রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের কোনও কর্মঘণ্টা নাই।
উত্তরবঙ্গের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গ একসময় অবহেলিত ছিল। আমরা সেখানে ইপিজেড করেছি। অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। আমরা রংপুরকে বিভাগ করেছি। এখন রংপুরকে মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট ঘোষণা করছি। আমরা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। ২১০০ সালে বাংলাদেশকে কোন জায়গায় দেখতে চাই সে পরিকল্পনা করে ডেল্টা প্ল্যান করেছি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম সুন্দর উন্নত দেশে আমাদের শিশুদের জন্ম নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করছি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী প্রমুখ। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ ও আইনশৃঙ্খলায় পুলিশের অবদান নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শীত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.