তাজুল ইসলাম হানিফ॥ হ্যাঁ,…প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বিশাল মঞ্চের, ফুলে ফুলে সাজানো হবে কলেজ আঙ্গিনা, নতুন সাজে সাঁজবে কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রাম তথা পুরো এলাকাটি।
এই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে কসবা উপজেলার স্মরণকালের বিশাল জনসংবর্ধনা। বিশাল সংবর্ধনায় সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও ব্রাক্ষনবাড়িয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য এড. আনিসুল হক। এই সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে দলীয়-নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য, গোটা উপজেলায় দলীয়-নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার। সংবর্ধণা অনুষ্ঠানকে সফল করতে দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। দফায়-দফায় মিটিং করছেন এলাকাবাসী।
সম্মানিত সুধীজন,
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঋতু বদলায়। পরিবর্তন হয় নামের। কিন্তু এমন কিছু নাম যা অজেয় হয়ে থাকে সমাজে, যে নামের মৃত্যু হয় না। আমাদের সমাজে কেউ আছেন যিনি ইতিহাস হয়ে আসেন না, বরং তাঁর থেকে শুরু হয় নতুন এক ইতিহাস। কেউ আছেন যখন দাঁড়ান তখন একা দাঁড়ান না, সঙ্গে দাঁড়ায় লাখো মানুষ। তাদেরই একজন আলহাজ্ব এ. বি. সিদ্দিক সাহেব। তাঁরই আর্থিক ও ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ১৯৬৯ ইং সালে সৈয়দাবাদ আদর্শ মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশ-ঘেশা অত্যন্ত মনোরম ও চমৎকার পরিবেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজটি যে কারোর মনকাঁড়ে। কালের আবর্তে, এড. আনিসুল হকের বদান্যতায় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় চেতায়, আজ এই উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হিসেবে স্বীকৃত।
রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। রাজনীতি মানে রাজার নীতি নয়, নীতির রাজা। রাজপথ মানেও রাজার পথ নয়, পথের রাজা। হ্যাঁ, পথের রাজা, জন-মানুষের আস্থা, ভালবাসা ও বিশ্বাস, এড. আনিসুল হক। তাঁর প্রতি সামান্য সৌজন্যতা বোধ প্রকাশ করার জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে জনসমুদ্রে পরিণত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। গণসংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে বর্ণিল সাঁজে সাজানো হবে, হবে দৃষ্টিনন্দনভাবে। সংবর্ধনাস্থলের বাইরেও রাস্তাগুলো নান্দনিকভাবে সাজানো হবে। সংবর্ধনাস্থলে যে সড়ক দিয়ে আসবেন সে-সড়কগুলোতে মন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্জনের ছবি সংবলিত পোস্টার-ফেস্টুন ও ব্যানার লাগানো হবে। তার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। হয়েছে দুটি কলেজ ও একটি স্কুল সরকারি।