ইরাকের যৌনদাসী নাদিয়ার শান্তিতে নোবেল জয়

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ যৌনদাসী ছিলেন নোবেলজয়ী নাদিয়া। যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংগ্রামে যৌন সহিংসতা নিরোধে কাজ করে এ বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ইরাকের মানবাধিকার কর্মী নাদিয়া মুরাদ। গত শুক্রবার নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে।peace novel winer nadia
কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস ম্যাকওয়েজের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পান তিনি। ৩৩১ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে তাঁদের দু’জনের হাতে তুলে দেয়া হয় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকার কর্মী মালালা ইউসুফ জাইয়ের পর সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক এই পুরস্কার জিতলেন ২৫ বছর বয়সী ইয়াজিদি এই তরুণী।
উত্তর ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের এই তরুণী জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে প্রায় তিন বছর জিম্মি ছিলেন। এই সময়ে আইএস জঙ্গিরা তাকে ব্যবহার করেছে যৌন দাসী হিসেবে। চোখের সামনে জঙ্গিরা তাঁর ছয় ভাই ও মাকে খুন করেছে। এরপর তিনি আইএসের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে সমর্থ হন।
উত্তর ইরাকের আইএস জঙ্গিদের কবল থেকে পালিয়ে এসে লন্ডনের এক হোটেলে বসে সেই দিনগুলোর কথা গণমাধ্যমের বলেন তিনি। ২০১৬ সালে সেন্ট্রাল লন্ডনের ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস হাউসে দেয়া এক বক্তৃতায় আইএস জঙ্গিদের যৌন তান্ডব ও নৃশংসতার কথা তুলে ধরেছিলেন নাদিয়া।
আইএসের হাতে বন্দি থাকাকালীন শত শত ইয়াজিদি নারীকে কিভাবে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা জানাতে ২০১৭ সালে নাদিয়া ‘দ্য লাস্ট গার্ল’ নামে একটি বইয়ে সেই কাহিনি তুলে ধরেন। এর আগে ২০১৪ সালে আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে ইয়াজিদি নারীদের রক্ষার জন্য একটি প্রচারণাও চালান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.