আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ উইকিলিকস এর ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার ফলাও প্রচারের ভিত্তিতে প্রকাশিত এই রিপোর্ট। ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠি ইসলামিক স্টেটসের (আইএস) জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন বলে জানিয়েছে উইকিলিকস। উইকিলিকস জানায়, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আইএসের প্রতিষ্ঠাতা। আইএসের জন্য যাদের কাছ থেকে হিলারি অর্থ সংগ্রহ করেছেন, সেসব দেশের নামসহ পুরো তালিকা প্রকাশ করেছে উইকিলিকস।
কনজারভেটিভ ডেইলি পোস্ট জানিয়েছে, উইকিলিকস হিলারির যেসব ই-মেইল ফাঁস করেছে, তাতে আইএস প্রতিষ্ঠায় হিলারি এবং ওবামার সম্পৃক্ততার শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে। অথচ বেশ কিছু প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম এসব খবর প্রকাশ করছে না। ডেইলি পোস্ট আরো জানায়, হিলারি বর্তমান সময়ে কী কী করছেন, তার চেয়ে ট্রাম্পের অতীত ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতেই বেশি পছন্দ করছে গণমাধ্যমগুলো। কিন্তু আমরা তাদের মতো নই। আইএসের সঙ্গে হিলারির যে সম্পৃক্ততা রয়েছে সাহসী এবং দেশপ্রেমিক জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জের মতো আমরাও সেগুলোর প্রমাণ দেব। কেননা আমরা যতটুকু ধারণা করেছি আইএসের সঙ্গে হিলারির তার চেয়ে অনেক বেশি সম্পৃক্ততা রয়েছে।
হিলারির ফাঁস হওয়া ই-মেইলে আইএস এবং অন্যান্য সুন্নি সংগঠনকে অর্থ সহায়তায় কাতার এবং সৌদি আরবের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সৌদি আরব এবং কাতারের কাছ থেকে বড় ধরনের অর্থ সহায়তা পাওয়ার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন হিলারি। কিন্তু এই দুটি দেশ থেকেই তিনি সবচেয়ে বেশি অর্থ সহায়তা পেয়েছেন। হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি করেছিলেন। ওইসব দেশ হিলারিকে তার সংগঠনের জন্য বড় ধরনের অর্থ সহায়তা দিয়েছিল। হিলারির কারণেই এসব অস্ত্র সৌদি, কাতার এবং লিবিয়া হয়ে জঙ্গিদের হাতে পৌঁছেছে। আর এভাবেই জন্ম হয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের।
মোদ্দা কথা হলো এটা কি হিলারির দোষ নাকি রাষ্ট্রিয় কৌশলের দোষ। হিলারির স্থলে যেই ঐ দায়িত্বে থাকতেন তিনি ঐসকল কাজ করতে হতো। সুতরাং এর দায়ে হিলারিকে না করে পুরো প্রশাসণকে করে বরং এর থেকে কিভাবে আমেরীকা বের হয়ে আসবে সেই পথই এখন খোজে বের করা অতিব জরুরী। কারণ এর মধ্যে না পাওয়া যায় শান্তি এমনকি না পাওয়া যায় অর্থনৈতিক মুক্তি। এখনই সময় সঠিক দিকনির্দেশনার।