নজরুল ইসলাম॥ বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা ভাসানচর কতোটুকু প্রস্তুত রোহিঙ্গাদের জন্য। গড়ে উঠেছে কিইবা সুযোগ সুবিধা। এরকম অনেক প্রশ্নে কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ভাসানচর।
মূলত: ১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিতে ভাসানচরে দেড় হাজার একরজুড়ে করা হয়েছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা করতে তৈরি করা হয়েছে ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।
নির্মাণ করা হয়েছে ১২০টি গুচ্ছ গ্রাম বা ক্লাস্টার। প্রতিটি ক্লাস্টারে রয়েছে ১২টি বড় টিনশেট, ৪তলা বিশিষ্ট একটি করে আশ্রয় কেন্দ্র ও একটি করে পুকুর। সম্প্রতি ভাসানচর পরিদর্শন করেছেন টেকনিক্যাল এ্যাসেসমেন্ট এন্ড প্রোটেকশন সাব কমিটির একটি প্রতিনিধি দল। ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে কথা বলেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
ভাসানচরে তৈরি করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ফুট পাঁকা রাস্তা। স্থাপন করা হয়েছে সোলার প্যানেল, মোবাইল ফোন টাওয়ার ও ইন্টারনেট সংযোগ। রয়েছে কৃষি, হাঁস-মুরগী পালন, মৎস্য চাষ, গবাদী পশু পালন, ব্যবসা বাণিজ্য, প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থানসহ নানামুখী সুযোগ।
নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, নৌবাহিনীর সম্মুখ ঘাঁটি, হেলিপ্যাডও স্থাপন করা হয়েছে ভাসানচরে। টেকনিক্যাল এ্যাসেসমেন্ট এন্ড প্রোটেকশন সাব কমিটি ভাসানচর পরিদর্শন শেষে ইতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনাব মিজানুর রহমান।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রসংগে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপপ্রধান সহকারী মন্ত্রী এলিস ওয়েলস বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছামূলক স্থানান্তরের অধিকার রয়েছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভাসানচর সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করছে।
শিগগিরই রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে ভাসানচর পরিদর্শন করানোর চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
ভিডিওটি দেখুন https://www.facebook.com/voabangla/videos/269343053712760/?t=38