রিমন॥ একটা সময় প্রতিটা সরকারি হাসপাতালে জনদুর্ভোগের চিত্র ছিল নিত্যদিনের কাহিনী। রোগী বাইরে দাঁড়ানো অথচ চিকিৎসক নেই। চিকিৎসক আছে কিন্তু পর্যাপ্ত উপকরণ নেই, দক্ষ জনবল নেই, সরঞ্জামের অভাব।
চিকিৎসা দেওয়ার মত পরিবেশটাই আসলে ছিল না। ডাক্তার দের উপর কারণে, অকারণে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য কাহিনী নিয়ে, টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীবৃন্দ একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে রাখতো। একই সাথে দুর্নীতি।
অন্যতম মৌলিক চাহিদা চিকিৎসা খাত। দেশের মোট জনশক্তির দুই তৃতীয়াংশই সরকারি চিকিৎসা খাতে নির্ভরশীল।
দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্য সেক্টরে কর্মসূচী গ্রহণ, জনবল নিয়োগ ও অবকাঠামো নির্মাণকাজ, জনবল বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম ইত্যাদি উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন গত সাড়ে ৯ বছরের বেশি সময় ধরে।
স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে দেশের মানুষ। দেশের ৯৯ ভাগ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিসেবার ব্যবস্থা। বর্তমানে প্রতি মাসে ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নেন। দেশে অনুর্ধ ১২ মাস বয়সের শিশুদের সকল টিকা প্রাপ্তির হার ৮১ ভাগ। পোলিও, ধনুষ্টংকর মুক্ত হয়েছে দেশ।
দেশের সকল পর্যায়ের হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। নির্মাণ করেছি নতুন নতুন জেনারেল হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল। সরকার নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, নার্সিং কলেজ এবং নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছে। আর ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যখাতের প্রতিটি বিভাগেই জনবল বাড়ানো হয়েছে।
এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে আমার, আপনার সকলের দেশে;;; বাংলাদেশ। দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাই এগিয়ে আসুন আগামীর সম্বৃদ্ধিকে আরো শক্তিশালী করি এবং উন্নয়ন গতিকে তরান্বিত করে। শেখ হাসিনাকে নৌকার বিজয় উপহার দিয়ে আরো উন্নতি ও সম্বৃদ্ধি স্ব-চক্ষে দেখে উপভোগ করি।