মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাংকর ২৪ কোটি ডলার ঋণ

প্রশান্তি প্রতিনিধি॥ ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮(বাসস) বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ি, তলদেশীয় ও ভাসমান প্রজাতির মৎস্য উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ২৪ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে। এ বিষয়ে গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম ও বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক পরিচালক ড. জাহিদ হোসেন নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।Motso Utpadon barate world bank 25 kote taka
চুক্তির আওতায় ‘সাসটেইনএবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সামুদ্রিক একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্য জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে চিংড়ি, তলদেশীয় ও ভাসমান প্রজাতির মৎস্য মজুদ নিরূপণ জোরদার করা সম্ভব হবে। এছাড়া সমুদ্র অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা জোরদারের জন্য সরকারি গবেষণা বৃদ্ধি, ক্ষদ্রায়ন ও বাণিজ্যিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে কার্যকর পরিবীক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। চারটি অংশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
কাজী শফিকুল আযম বলেন,প্রকল্পটি যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা গেলে করা গেলে একটু বেশি সুদে ঋণ নেওয়া হলেও কোন সমস্যা হবে না। প্রকল্পটি সামদ্রিক অর্থনীতির বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ড. জাহিদ হোসেন বলেন, কৃষি খাতের যে প্রবৃদ্ধি, তার মধ্যে মৎস্য খাতের অবদান অনেক। জাতীয় অর্থনীতিতে ৩ শতাংশ অবদান রাখছে মৎস্য খাত। এছাড়া মোট কৃষি খাতের যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, তার ২২ শতাংশ আসে মৎস্য খাত থেকে। গত কয়েক বছরে মৎস্য উৎপাদন তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে যারা যুক্ত অর্থাৎ মৎস্যজীবীদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেনি। বছরের একটি বড় সময় তারা কাজ পায় না। ফলে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে জীবন চালায়। পরবর্তীতে কম দামে মৎস্য আগাম বিক্রি করতে বাধ্য হয়।এই প্রকল্পটি একদিকে যেমন সামদ্রিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে, তেমনি মৎস্যচাষীদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বব্যাংকের দেওয়া এই ঋণের ক্ষেত্রে আগের শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জের সঙ্গে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.