প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ প্রেমিককে জবাই করে মাংস রান্না- বিয়ে করতে পারবেন না জেনে এক নারী তার প্রেমিককে জবাই করে হত্যা করেছেন। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। জবাইয়ের পর প্রেমিকের মাংস রান্নাও করেছেন। সেই রান্না মাংস আবার বাড়ির পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবনের শ্রমিকদেরও খাইয়েছেন। পরে যেটুকু মাংস অবশিষ্ট ছিল তা দিয়েছেন পাশের বাড়ির কুকুরকে।
লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরোক্কতে। প্রেমিকের হত্যাকারী ওই নারী তার সাবেক প্রেমিককে জবাইয়ের পর সেই মাংস দিয়ে আরবের ঐতিহ্যবাহী খাবার মাঞ্চবুস রান্না করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর আল আইনের একটি আদালতে ওই নারীর বিচার চলছে। আদালতের এক প্রসিকিউটরের বরাত দিয়ে মর্মান্তিক এ ঘটনার প্রতিবেদন করেছে আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।
আল আইনের আদালতে কাছে দেয়া জবানবন্দীতে ওই নারী স্বীকার করেছেন যে, তিনি তার সাবেক প্রেমিককে জবাই করে সেই মাংস দিয়ে চপ বানিয়েছেন। ৩০ বছর বয়সী ওই নারী আদালতে দেয়া তার স্বীকারোক্তিতে বলেন, তিনি তার ২০ বছর বয়সী সাবেক প্রেমিককে জবাই করে হত্যা করেছেন। সাত বছর ধরে প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ও তাকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করার পরও প্রেমিক তার সঙ্গে প্রতারণা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করেন তিনি।
হত্যার শিকার ওই তরুণের ভাই চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এ মর্মে একটি মামলা করেন। ওই তরুণের ভাই বলেন, এক বাড়িতে তার ভাই ও ভাইয়ের প্রেমিকা বসবাস করতেন। হঠাৎ একদিন যখন তিনি তার ভাইয়ের খোঁজ পাচ্ছিলেন না তখন সেই বাড়িতে যান। তার ভাইয়ের প্রেমিকার কাছে নিখোঁজের ব্যাপারে জানতে চান।
কিন্তু ওই নারী বলেন, ‘আমি তোমার ভাইয়ের ব্যাপারে কিছুই জানি না। মূলত যখন আমি জানতে পারি যে, তোমার ভাই আমারে সঙ্গে বসবাস করেও অন্য আরেকজনকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে তখনই আমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেই।
কিন্তু সন্দেহ তৈরি হয় অন্য জায়গায়। নিহত তরুণের ভাই ওই নারীর বাড়িতে একটি মানুষের দাঁত খুঁজে পায়। এরপর সে বুঝতে পারে এখানেই তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। দাঁতটি প্রমাণ হিসেবে নিয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করে সে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ওই নারীকে গ্রেফতার করেন। ওই দাঁতের ডিএনএ টেস্ট ও ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই নারী তার প্রেমিকের হত্যাকারী।
তদন্ত চলাকালে ওই নারী পুলিশকে বলেন, প্রেমিককে জবাই করে তার মাংস রান্নার পর সে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে ঘর পরিস্কার করে নেয়। এরপর প্রেমিকের শরীরের অবশিষ্টাংশ গোপনে সরিয়ে ফেলে। পরিকল্পিত হত্যার কারণে আল আইন শহরের একটি আদালতে ওই নারীর বিচার চলছে।