আনোয়ার হোসেন॥ নায়েমের মহাপরিচালক সৈয়দ অধ্যাপক মো: গোলাম ফারুককে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। গত রোববার (১৮ নভেম্বর) আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
এর আগে গত ২০শে ফেব্রুয়ারি তাকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নায়েমের আগে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলেরর পরিচালক পদে ছিলেন। তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ইংরেজির অধ্যাপক। রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক পদে সরাসরি নিয়োগ পান তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন গোলাম ফারুক।
মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদটি ১ম গ্রেডের। কিন্তু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১ম গ্রেডের কেউ নেই। তাই এসএসবি করে মহাপরিচালক নিয়োগ দেয়া না যাওয়ায় চলতি দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে গত প্রায় ২০ বছর যাবত।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান গত ৩ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অপর এক আদেশে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক আহাম্মেদ সাজ্জাদ রশীদকে নায়েমের মহাপরিচালক ও ঢাকা কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর হোসেনকে ডিআইএর পরিচালক করা হয়েছে।
নতুন দুই মহাপরিচালক ও একজন পরিচালককে অভিনন্দন জানিয়েছেন শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান। আরও অভিনন্দন জানিয়েছেন স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের নেতৃবৃন্দ। সংসদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো: নাসির উদ্দিন ও সদস্য-সচিব সৈয়দ জাফর আলী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ নতুন মহাপরিচালকদের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) এর নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে নব নিযুক্ত দুই মহাপরিচালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিবৃতিতে সই করেন সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক ও সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি সাব্বির নেওয়াজ। সহসভাপতি মুসতাক আহমদ ও নিজামুল হক, কোষাধ্যক্ষ শরীফুল আলম সুমন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আকতারুজ্জামানসহ অন্যান্যরা।
মাউশি অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রফেসর হিসেবে কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে যোগদান করেন। চাকরী জীবনে তিনি লিয়েনে সৌদি আরবে কিং খালিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন গোলাম ফারুক। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি বেশ কয়েকটি বইয়ের রচয়িতা ও অনুবাদক। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত প্লেটো: দর্শন ও রাষ্ট্রচিন্তা, অস্তিত্ববাদের শ্রষ্টা সোরেন কিয়ের্কেগার্ড উল্লেখযোগ্য। তাঁর নিজ জেলা চট্টগ্রাম।