আনোয়ার হোসেন॥ কে উঠছেন মহাজোটের নৌকায়? একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্টের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মহাজোটের কর্মী সমর্থকরা। এ আসনে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিকল্পধারার শমসের মবিন চৌধুরী বীর প্রতীক।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন গত বুধবার। অন্যদিকে সদ্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যুক্ত হওয়া বি চৌধুরীর বিকল্পধারাও একই আসনে প্রার্থী দিয়েছে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বি চৌধুরীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরী বীর প্রতীককে। তিনিও একই আসন থেকে নির্বাচন করার লক্ষ্যে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে যদি বিকল্পধারার সমঝোতা হয় তাহলে এ দুই নেতার মধ্যে একজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতায় থাকবেন। কিন্তু সমঝোতা না হলে উভয় নেতা নির্বাচনে লড়তে পারেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আর একারণেই দু’দলের এই দুই শীর্ষ নেতাকে নিয়ে বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের সর্বত্রই এখন একটাই প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত কে পাচ্ছেন মহাজোটের নৌকা প্রতীক? নাহিদ না সমশের?
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে ‘অবসর’ নেয়া সাবেক সচিব শমসের মবিন চৌধুরী বীরপ্রতীক কিছুদিন আগে বিকল্পধারায় যোগ দেন। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সিলেট-৬ আসনটি দাবি করে বিকল্পধারা। কিন্তু আসনটিতে নুরুল ইসলাম নাহিদকেই প্রার্থী করে ক্ষমতাসীনরা। এর মধ্যেই বুধবার সিলেট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে বিকল্পধারার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন শমসের মবিন।
এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যদি বিকল্পধারার সমঝোতা হয়, তাহলে নাহিদ ও শমসের মধ্যে একজন প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন। অন্যজনকে সরে যেতে হবে। আর যদি সমঝোতা না হয়, তাহলে সিলেট-৬ আসনে একাদশ নির্বাচনে নাহিদ-শমসের হবেন মুখোমুখি। সমঝোতা হলে নাহিদ নাকি শমসের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন তা এখন পর্যন্ত খোলাসা হয়নি। তবে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দুই নেতাই আশাবাদী।
সিলেট-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের মানুষ নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। বিগত দিনের উন্নয়নের পক্ষে এবারের নির্বাচনে মানুষ রায় দেবে। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
অপরদিকে মনোনয়ন জমা দিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমি আশাবাদী এই আসনে মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আমাকে দেয়া হবে। এ নিয়ে মহাজোটে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করি শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এই আসনটি আমাকে ছেড়ে দেবে।