কসবা এবং আখাউড়ার জনগন এখন স্থিতিশীলতায় নির্ভরশীল, সততায় আকৃষ্ট এবং উন্নয়নে মনোযোগী। সবাই এখন নির্বাচনী জোয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের অভিষ্ট লক্ষের দিকে। দাবি একটাই যদি ফেয়ার ভোট হয় এবং সবাই কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে তাহলে সবই যাবে সততার পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে এবং আদর্শ ও দিকদর্শনের পক্ষে। মানুষের মনের কোণে জমাটবাধা জোয়ার এখন এগুচ্ছে প্রলয়ঙ্করী রূপে। এই প্রলয়ঙ্করী রূপের জৌলুস প্রজ্জ্বলিত হবে সামনের দিনগুলিতে। তবে নির্বাচনী মাঠে এখন মাত্র একটি নাম এবং একটি প্রতিদ্ধন্ধী আর তা হলে শেখ হাসিনা এবং উন্নয়ন ও নৌকা প্রতিকের অধিকারী জনাব আনিছুল হক।
নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা যায় উন্নয়ন এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও দৃশ্যমান সুবিধাভোগ মিলেই আগামীর জয়ের পাল্লা ভারী। তবে নির্বাচনের মাঠে নেই কোন প্রতিদ্ধন্ধীর প্রতিদ্ধন্ধীতার লেশমাত্র লক্ষণ। বিএনপি এবং জামাতের ভোট ব্যাংকও এখন তছনছ। নেই তাদের ঐক্যবদ্ধতা এবং নির্বাচনী কর্মযজ্ঞ। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাঠের বাইরে হইচইয়ে ব্যস্ত। ভোটারদেরও মাঠে নামাতে ব্যর্থ। তবে যেন একক ও ঐক্যের সমন্বয়ে নৌকার জয়জয়কার।
যাদেরকে ব্যবহার করে মাঠ গরম করার কথা ছিল তারা এখন অনুপস্থিত এবং নির্বাচনী জোয়ারের বাইরে। তাদের ইচ্ছা ও আকাঙ্খায় যেন ভাটা পড়েছে। ঐক্যফ্রন্টের জোড়ালো তাপে তারা গলিত আকারে মূল শ্রোত থেকে ছিটকে পড়েছে। তারপরও বলব কিছু কিছু এলাকায় এখনও তাদের মায়া কান্নার স্বর শোনা যাচ্ছে। তবে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই এর নিষ্কিয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে জনাব আনিছুল হক তার সততা, দৃশ্যমান কাজ, উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং আগামির রূপরেখা দিয়ে সবই জয় করেছেন। সকল অমঙ্গলকে মঙ্গলে পরিণত করেছেন। আসাধ্যকে সাধ্যের মধ্যে নিয়ে এসেছেন। এইক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষরও বহমান রয়েছে।
বিশেষ ভূমিকায় রয়েছেন জনাব রাশেদুল কাউছার জীবন সাহেব; যিনি জনাব আনিছুল হকের এপিএস (রাজনৈতিক সচিব)। তার অবদান অনস্বীকার্য। জনাব হকের আকাঙ্খা এবং নির্দেশনা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাশেদুল কাউছার জীবন অনন্য। পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, দলীয় সমর্থক ও কর্মীগন যার যার দায়ীত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতীতে জনাব হক সাহেব এখন নিরাপদ অবস্থানে। তবে তিনিও কম নন। তিনি নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। জনতার কাতারে সামিল হচ্ছেন আবার কখনো কখনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে মানুষের সুখ দু:খের কথা শুনছেন এবং আগামীর দিকদর্শন ও রূপরেখা ব্যক্ত করে যাচ্ছেন। শোনাচ্ছেন এবং দেখাচ্ছেন শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ এবং নির্বাচনী মেনুফেষ্টের সকল মঙ্গলকামী ভাবনা ও বাস্তবায়নের রূপরেখা। এই সবই এখন একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মকান্ড। যেদিকে তাকাই সেইদিকেই নৌকা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর এই আসনের সফল উন্নয়নের রূপকার ও আগামীর স্বপ্নদ্রষ্টা জনাব আনিছুল হক।
আমরা কসবা ও আখাউড়া ঘরে ঘরে গিয়েছি এবং ভোট চেয়েছি যা জনাব হক সাহেবের নির্বাচনী প্রচারের মাঠ জরিপও বলা যেতে পারে। যেমন সৈয়দাবাদ গ্রামের জনাব রেজেক একজন রিক্সা ওয়ালা; তার ভাবনায়ও উন্নয়ন এবং আনিছুল হক। পূর্বে তিনি ধানের শীষের সমর্থক ও অন্ধভক্ত কিন্তু বর্তমানে জনাব হক সাহেবের শুবাকাঙ্খি। শুধু তাই নয় আরো অনেকে যারা বিএনপি এবং জামাত ঘেষা ছিল তারা আজ আওয়ামী লীগের স্রোতে মিশেগিয়ে আগামীর বিজয় সুনিশ্চিত করেছেন। জনাব রাজ্জাক, ফজুলক, আজিজ, মজিব এমনকি আরো হাজারো নাম। এবার আসা যাক চান্দাইসার গ্রামের হানিফ, মুছলেমসহ আরো অনেকেই জনাব হক সাহেবের বিজয় কান্ডারী। অতীতে তারাও ধর্মীয় বিভক্তিতে জড়িয়ে ছিল কিন্তু বর্তমানে আর সেই বিভক্তি নেই বরং ভোট এবং সমর্থনে আনিছুল হক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জয়ের কান্ডারী হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। মসজিদ, মাদরাসা ও এতিখানাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এখন আনিছুল হকের বিজয়ধ্বনী।
মজলিশপুর গ্রামের আমিরুল এবং চাপিয়া গ্রামের নুরুল হক সহ সবারই একই অভিব্যক্তি। গুরহুইত গ্রামের বাছির মিয়াও আজ নৌকার বিজয়ের পক্ষে; মনিচং গ্রামের আবু বক্কর এবং হাজিপুর গ্রামের হীরন মিয়া, মনকাশাইর গ্রামের আবদুর রউফ, ধর্মপুর গ্রামের মনির হোসেন খান, তালতলা গ্রামের কুতুবুল ইসলাম, আড়াইবাড়ী গ্রামের মহসিন, শাহপুর গ্রামের আনোয়ার, আকছিনা গ্রামের সাইফুল, লেশিয়ারা গ্রামের উজ্জ্বল, গোয়ালী গ্রামের শাহআলম, রায়তলা গ্রামের সহিদ, বাহাদুর গ্রামের সামসুল হক, বিনাউটির মজিদ, কায়তলার আমানউল্লা, বাদৈর গ্রামের সেলিম, শিকারপুর গ্রামের ইসমাইল, আখাউড়ার জমির, খরমপুরের জমসেদ সহ ১০ হাজার মানুষের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয় এবং কোথায় এবং কেন ভোট দিবেন এই বিষয় যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষণধর্মী প্রমান নিয়ে আসা হয়।
আমরা খুবই অল্প কয়েকজনের নাম উল্লেখ করলাম এবং এই অনুসন্ধান এবং প্রচারণায় ছিল পরিবেশ ও সমান সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ার স্মৃতি। ছিল মানুষের না বলা কথার বহি:প্রকাশ। সমাজের উঁচু – নীচু সকলের সঙ্গেই আমাদের আলোচনা হয়েছে। তুলে আনা হয়েছে তৃণমূলের মতামত এবং যৌক্তিক কারণে আওয়ামী লীগের জয়ের কারন ও আনিছুল হকের প্রয়োজনীয়তা।
দৃশ্যমান উন্নয়ন। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। ঘোষবিহীন চাকুরী। প্রয়োজনে বিভিন্নভাবে সরকার এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে আনিছুল হককে কাছে পাওয়া। রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা-মসজিদ, মন্দির, পেঘুটাসহ যাবতীয় উন্নয়ন। কলেজ সরকারীকরণ। মডেল মসজিদ নির্মান। শতভাগ বিদ্যুত। আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতী। সিমান্ত হাঠ। ব্রীজ-কালভার্ট নির্মান। ব্যক্তিগত টাকায় সামাজিক উন্নয়ন সাধন। নের্তৃত্বে মেধার বিকাশ। সাম্যের সঙ্গে বসবাস। দল-মত নির্বিশেষে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং পারিবারিক উন্নয়ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপদান। আন্তর্জাতিক অর্জন। কওমী মাদ্রাসাকে সরকারী স্বীকৃতি। বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা। স্বল্প মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ। মেয়েদের শিক্ষাবৃত্তি। বিনামূল্যে বই বিতরণ। স্বাস্থ্যসেবায় বিল্পন সাধন। কৃষকের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ভূর্তকীর মাধ্যমে সরবরাহ সহ আরো হাজারো দৃশ্যমান বাস্তবতা তুলে ধরেন। এই সকল বিষয়ের আলোকে মানুষ নৌকাকে বেঁছে নিয়েছেন।
আমরা এই জরীপ এবং ভোট চাইতে গিয়ে আভির্ভূত হয়েছি এইজন্য যে, মানুষের তথ্যনির্ভর যুক্তি এবং সঠিক বিষয় বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। একেই বলে যোগ্য পাত্রে বা সৎ পাত্রে কন্যা দান করার সামিল। এখানেও শেখ হাসিনার সরকার সফলকামী। কারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ আজ তথ্য বাতায়নে সমতালে শহরাঞ্চলের সঙ্গে পাল্লাদিয়ে এগুচ্ছে। এই সমতাভিত্তিক উন্নয়নই প্রমান করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং শেখ হাসিনা বিশ্ব পরিমন্ডলে ১ম স্থানে উন্নীত হয়ে বিশ্বের অচলায়তন ও দরবস্থা নিরসনে খোদার দেয়া নিয়ামত হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে। বাংলাদেশের এই অর্জন ও অগ্রগতি ঠেকানোর কোন শক্তি এখন আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না বরং সকল অপশক্তির মৃত্যু বা পরাজয় আসন্ন।
এগিয়ে যাচ্ছে দেশ এবং এগিয়ে যাচ্ছে নৌকা। এগিয়ে যাবে এদেশের মানুষ জ্ঞান এবং চিন্তা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। আগামী দিনের এই অগ্রগামীতাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দরকার আনিছুল হকদের মত সাদা মনের মানুষ। আমরা আশা করি আগামী সংসদে তিনি স্ব মন্ত্রনালয়ে থেকেই দায়িত্ব পালন করবেন এবং জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন।